Anubrata Mondal : কোনও ‘দাওয়াই’ নেই, কর্মীদের নিয়ে বৈঠকে ‘অন্য’ অনুব্রত

Anubrata Mondal : বীরভূমের সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত পুরন্দরপুরে দলের কার্যালয়ে কর্মীদের নিয়ে আজ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল।

Anubrata Mondal : কোনও 'দাওয়াই' নেই, কর্মীদের নিয়ে বৈঠকে 'অন্য' অনুব্রত
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 02, 2022 | 11:35 PM

বীরভূম : ভোটের আগে তাঁর মুখে নানা দাওয়াই শুনতে অভ্যস্ত দলের কর্মীরা। সেই দাওয়াই মেনেই ভোটের ময়দানে কর্মী-সমর্থকরা নামেন। কিন্তু, আজ তাঁকে দেখলে মনে হবে বদলে গিয়েছেন। আর কয়েকমাস পর পঞ্চায়েত নির্বাচন। কিন্তু, চড়াম চড়াম, গুড়-বাতাসার কথা বলার বদলে কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করলেন। সেখানেই দিলেন ভোটে জেতার কৌশল। আর সেই বৈঠকে সংবাদমাধ্যমের প্রবেশের উপরও নিষেধাজ্ঞা ছিল। জল্পনা তৈরি হয়েছে, তাহলে কি বদলে গেলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)? বিরোধীরা অবশ্য কটাক্ষ করে বলছে, এসবই সিবিআইয়ের চাপ।

গতকালই তৃণমূলের সাংগঠনিক রদবদল হয়েছে। একাধিক জেলার সভাপতি বদল হয়েছে। কিন্তু, বীরভূমে কেষ্টর উপরই ভরসা রেখেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংগঠনিক রদবদলের পর পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে আজ থেকে বীরভূম জেলার ব্লকে ব্লকে কর্মী সম্মেলন শুরু করলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।

বীরভূমের সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত পুরন্দরপুরে দলের কার্যালয়ে কর্মীদের নিয়ে বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এই বৈঠকে অনুব্রত মণ্ডল ছাড়াও ছিলেন জেলা সহ-সভাপতি অভিজিৎ সিংহ, সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, সাঁইথিয়ার বিধায়ক লীলাবতী সাহা-সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। জানা গিয়েছে, দলের সংগঠনকে কীভাবে আরও মজবুত করতে হবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কীভাবে জয়লাভ করবে, তা নিয়েও আলোচনা হয় বলে সূত্রে জানা গিয়েছে।

গত কয়েকমাসে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলা এবং গরু পাচার মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা একাধিকবার ডেকে পাঠিয়েছে অনুব্রতকে। এই কয়েকমাসে তৃণমূলের একাধিক সভায় তাঁকে দেখা যায়নি। দলের বক্তব্য, তিনি অসুস্থ। এই অবস্থায় জেলা সভাপতি বদল নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। তবে সেই জল্পনায় জল ঢেলে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব অনুব্রতর উপরই আস্থা রেখেছেন। আজ দলের বৈঠকে তাঁকে সেই আগের মতো মেজাজে দেখা যায়নি বলে সূত্রের খবর। তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, অসুস্থতার কারণেই এমনটা মনে হয়েছে। যদিও, বিরোধীরা দাবি করছে, CBI-এর চাপ এবং দলের চাপে পড়ে এই অবস্থা কেষ্টবাবুর। তাঁর বেফাঁস মন্তব্যে বার বার অস্বস্তি পড়েছে দল, তাই দলেরও চাপ রয়েছে।

আজ একবারই অনুব্রত মণ্ডলকে পাওয়া গেল ‘স্বমেজাজে’। বিশ্বভারতীর বিশ্ববিদ্যালয়ে কালীপুজো নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে উপাচার্যের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল তাঁকে। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে অনুব্রত বলেন, “ওই পাগলটাকে নিয়ে আমি কোনও কথা বলতে চাই না।”