Anubrata Mondal News: পুরসভার খালাসি থেকে কেষ্টর ছায়াসঙ্গী, দেড় বছরে ৫৬০ কাঠা জমির মালিক হওয়ার অভিযোগ বিদ্যুতের বিরুদ্ধে

গত দেড় বছরের সামান্য বেশি সময়ে বিদ্যুৎ গায়েন কিনেছিলেন ৫৬০ কাঠা জমি। এর আনুমানিক বাজারদর ৫০ কোটি টাকা!

Anubrata Mondal News: পুরসভার খালাসি থেকে কেষ্টর ছায়াসঙ্গী, দেড় বছরে ৫৬০ কাঠা জমির মালিক হওয়ার অভিযোগ বিদ্যুতের বিরুদ্ধে
| Edited By: | Updated on: Sep 09, 2022 | 5:26 PM

বোলপুর: বীরভূম মানেই কেষ্টগড়, নিন্দুকদের এমন কথা সত্যি করেই সামনে উঠে আসছে একের পর এক সম্পত্তি সংক্রান্ত চাঞ্চল্যকর তথ্য। যে দিকেই সম্পত্তির খোঁজ মিলছে, দেখা যাচ্ছে বেশিরভাগই হয় অনুব্রত মণ্ডলের না হলে কেষ্ট-আত্মীয় অথবা ঘনিষ্ঠদের। এভাবেই সিবিআইয়ের হাতে উঠে এসেছিল বীরভূমের বাহুবলী অনুব্রত মণ্ডলের ২৪০ বিঘে জমির খোঁজ। এবার সেই অনুব্রত মণ্ডলের ছায়াসঙ্গী বিদ্যুৎ গায়েনের পালা। সূত্রের খবর, গত দেড় বছরের সামান্য বেশি সময়ে বিদ্যুৎ গায়েন কিনেছিলেন ৫৬০ কাঠা জমি। এর আনুমানিক বাজারদর ৫০ কোটি টাকা! এই সব জমিই কেনা হয়েছিল করোনাকালে। যখন গোটা রাজ্য-দেশ ব্যাপক অর্থনৈতিকভাবে টালমাটাল পরিস্থিতির সম্মুখীন, তখনই ঘটেছে এমন কাণ্ড। সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত যা সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে তা হিমশৈলের চূড়ামাত্র এবং সব জমিই হয় বেহাত হওয়া না হয় দখল করে নেওয়া।

লালমাটির দেশে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে বীরভূমের বিদ্যুৎ গায়েন কিছু বছর আগে পর্যন্ত ছিলেন পুরসভার এক সামান্য খালাসি। তারপরই কেষ্ট-সান্নিধ্যে আসেন তিনি। আর এরপরই কর্মজীবনে পদোন্নতিও, খালাসি থেকে হয়ে যান পুরসভার গাড়ির চালক। এর কিছুদিনের মধ্যেই কেষ্টর ছায়াসঙ্গী হওয়ার পর থেকেই আমূল বদলে যায় বিদ্যুতের জীবন। তাঁর সম্পত্তিবৃদ্ধি হতে থাকে বিদ্যুৎগতিতে। মাত্র কয়েক বছরেই তিনি হয়ে যান কোটি কোটি টাকার মালিক। যে ৫৬০ কাঠা জমির খোঁজ মিলেছে, জানা যাচ্ছে তার সবটাই বিদ্যুৎ কিনেছিলেন নিজের নামেই। বেশিরভাগ জমিই কেনা বোলপুরের কালিকাপুর মৌজার নিচুপট্টি এলাকা মানে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির আশেপাশেই। এমনই ৭২ টি সম্পত্তির ডিড রয়েছে TV9 বাংলার হাতে। কীভাবে এক ব্যক্তি মাত্র দেড় বছরে এত টাকার সম্পত্তি কেনেন? কেনই বা তা প্রশাসনের নজরে আসেনি, প্রশ্ন উঠছে। সূত্রের খবর, অনুব্রত মণ্ডলের হিসেব রক্ষক মণীশ কোঠারির পরামর্শতেই হয়েছিল এই লেনদেন। এই মুহূর্তে অনুব্রত ও অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের সম্পত্তির খোঁজ পেতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার রেডারে রয়েছেন মণীশও। তাঁকে আজও বিভিন্ন নথি সহ দ্বিতীয়বারের জন্য গরুপাচার মামলায় জেরা করেছে সিবিআই।

Follow Us: