বীরভূম: তিনি ছিলেন বীরভূমের বেতাজ বাদশা। পদের নিরিখে নিছক একজন জেলা সভাপতি হলেও, তাঁর ক্ষমতা নিয়ে কারও কোনও সন্দেহ ছিল না। কিন্তু গরু পাচার মামলায় নাম জড়ানোর পর খাঁচায় বন্দি হন সেই ‘বাঘ’। কেউ কেউ সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন, রাজনৈতিক কেরিয়ারে আবার কি স্বমহিমায় ফিরতে পারবেন অনুব্রত মণ্ডল? আসানসোল ও তিহাড় জেল মিলিয়ে বছর দুয়েক গরাদে কাটানোর পর আর কি ফিরে পাবেন সেই ক্ষমতা?
বীরভূমে পা রাখার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই যা যা ঘটল, তাতে অনুব্রত যে আবারও সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরছেন, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ রইলেন না। বদলে গেল পার্টি অফিসের চেহারা। কোর কমিটির নেতাদের ছবি সরিয়ে দেওয়া হল। পার্টি অফিসে সাজো সাজো রব। এরই মধ্যে বুধবার সন্ধ্যায় বৈঠকও ডাকলেন কেষ্ট মণ্ডল।
এদিনের বৈঠকেই আলোচনা হল, কী হবে কেষ্ট মণ্ডলের পরবর্তী পদক্ষেপ। কোন পথে এগোবেন তিনি। তবে এদিনের বৈঠকে দেখা গেল না জেলার আর এক দাপুটে তৃণমূল নেতা তথা কোর কমিটির অন্যতম সদস্য কাজল শেখ। ছিলেন না আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কোর কমিটির অন্যান্য সদস্যরা। কাজ শেখ অবশ্য জানিয়েছেন, কেতুগ্রামে কোনও এক নেতা অসুস্থ থাকায়, সেখানে যেতে হয়েছিল তাঁকে।
দলীয় সূত্রে খবর, কালীপুজোর পরই একেবার স্বমহিমায় বীরভূমের পথে দেখা যাবে কেষ্টকে। এদিন তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, কালীপুজো শেষ হলেই ব্লকে ব্লকে ঘুরবেন তিনি। আপাতত শারীরিক অসুস্থতার জন্য কিছুটা বিরতিতে রয়েছেন তিনি। এছাড়াও বীরভূমের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে জেলার নেতাদের সঙ্গে এদিন কথা বলেন অনুব্রত মণ্ডল।