Anubrata Mondal: মা নেই, বাবা সিবিআই হেফাজতে, মানসিক অবস্থার কথা বলেই সিবিআই-কে ফেরালেন কেষ্ট-কন্যা

Anubrata Mondal: বুধবার সকালে অনুব্রত মণ্ডলের বোলপুরের বাড়িতে যান সিবিআই আধিকারিকরা। বাড়ি থেকেই তদন্তকারীদের ফিরিয়ে দেন সুকন্যা।

Anubrata Mondal: মা নেই, বাবা সিবিআই হেফাজতে, মানসিক অবস্থার কথা বলেই সিবিআই-কে ফেরালেন কেষ্ট-কন্যা
অনুব্রত মণ্ডল (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 17, 2022 | 2:52 PM

বোলপুর : গরু পাচার মামলায় বুধবার সকাল থেকেই জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব শুরু করেছে সিবিআই। অনুব্রত-কন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা আগেই জানানো হয়েছিল সিবিআই-এর তরফে। সেই মতো এ দিন সকালেই অনুব্রত মণ্ডলের সিএ-কে জিজ্ঞাসাবাদের পর অনুব্রতর বোলপুরের বাড়িতে যান আধিকারিকরা। ১০ মিনিট বাদেই দেখা যায় ওই বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে তদন্তকারী আধিকারিকদের টিম। সিবিআই সূত্রে খবর, এ দিন আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলতে চাননি অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত বলে উল্লেখ করে আধিকারিকদের ফিরিয়ে দেন তিনি।

এ দিন সকালে প্রথমে শান্তিনিকেতনে পূর্ব পল্লীর গেস্ট হাউসে গিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। সেখানে প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে অনুব্রত মণ্ডলের সিএ মণীশ কোঠারিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। সেখানে এক ব্যাঙ্ক কর্মীও উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। সেখান থেকে বেরিয়ে চারজন সিবিআই আধিকারিকের টিম সোজা চলে যায় বোলপুরের নীচুপট্টিতে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে। কিছুক্ষণ পরই দেখা যায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন এক মহিলা সহ ওই চার আধিকারিক।

সিবিআই সূত্রে খবর, সুকন্যা সিবিআই-কে জানিয়েছেন, তাঁর বাবা সদ্য গ্রেফতার হয়েছেন, তাঁর মায়ের মৃত্যু হয়েছে কিছুদিন আগইে। তাই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত তিনি। এই কারণ দেখিয়েই কথা বলতে অস্বীকার করেন সুকন্যা। বোলপুরের বাড়ি থেকে বেরিয়ে সিবিআই আধিকারিকরা সোজা চলে যান ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার শাখায়। সিবিআই সূত্রে খবর, ওই শাখায় অনুব্রত বা তাঁর মেয়ের অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য চেয়েছেন গোয়েন্দারা।

এর আগে অনুব্রত মণ্ডলের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছিল, বারবার তলব করা সত্ত্বেও জিজ্ঞাসাবাদে অংশ নেননি তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছিল সিবিআই। এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এবার মেয়ের ক্ষেত্রেও সিবিআই সেই একই অভিযোগ তুলতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তবে তার আগে সুকন্যাকে আরও কিছুটা সময় দেওয়া হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে সিবিআই আরও একবার নোটিস দিতে পারে তাঁকে। এ ছাড়া সরাসরি আদালতে সিবিআই সার্চ ওয়ারেন্ট জারি করার আবেদনও করতে পারে।

মূলত সুকন্যার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেই নজর রয়েছে সিবিআই-এর। প্রাথমিক শিক্ষিকা হয়েও সুকন্যার নামে কী ভাবে এত সম্পত্তি হল, কী ভাবে দুই সংস্থার ডিরেক্টর হলেন সুকন্যা, তা জানার চেষ্টা করছে সিবিআই। সুকন্যার নামে থাকা সম্পত্তির সঙ্গে গরু পাচারের টাকার কোনও যোগ রয়েছে কি না, সেটাই বুঝতে চাইছেন সিবিআই আধিকারিকরা।