Bagtui Massacre : বগটুইয়ে মৃতদের মধ্যে অন্তত ৩ জন পুরুষ, ২ মহিলা!
Rampurhat Crime: এখনও পর্যন্ত হাসপাতাল সূত্রে পাঁচ জনের নাম পাওয়া গিয়েছে। তাঁদের মধ্য়ে তিনজন পুরুষ, দুই জন মহিলা। তিনজন পুরুষ হলেন - বনিরুল শেখ (৫০), মেখলাল শেখ (৩৫), মিহির শেখ (৩৫)। সেই সঙ্গে ননেহার বিবি ও রূপালি বিবি - এই দুই মহিলার নামও পাওয়া গিয়েছে।
রামপুরহাট : রামপুরহাট হত্যাকান্ডের (Bagtui Massacre) পর মঙ্গলবার সকালে প্রাথমিকভাবে দমকলের তরফে জানা গিয়েছিল, দশ জনের মৃত্যু হয়েছে আগুন লাগার ঘটনায়। পরে রাজ্য পুলিশের ডিজি জানান, দশ জন নয়, আট জনের মৃত্যু হয়েছে এখনও পর্যন্ত। সোমবার রাতে যে তিনজনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে থেকে একজনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে আরও সাত জনের দেহ পাওয়া গিয়েছে। এই আটজনেরই দেহ ময়নাতদন্ত হয় রামপুরহাট হাসপাতালে। এদিকে যে আটটি দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে, তার মধ্যে দুটি দেহ শিশুর বলে অনুমান চিকিৎসকদের। রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ময়নাতদন্তের কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। বীরভূমের জেলাশাসকের উপস্থিতিতে ওই মৃতদেহগুলি হস্তান্তর করা হবে।
এদিকে একইরকম আতঙ্কের পরিবেশ রামপুরহাট হাসপাতাল চত্বরেও। কেউ কোনও কথা বলতে চাইছেন না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বা মৃতদের পরিবারের লোকজন, কারও দেখা নেই। এখনও পর্যন্ত হাসপাতাল সূত্রে পাঁচ জনের নাম পাওয়া গিয়েছে। তাঁদের মধ্য়ে তিনজন পুরুষ, দুই জন মহিলা। তিনজন পুরুষ হলেন – বনিরুল শেখ (৫০), মেখলাল শেখ (৩৫), মিহির শেখ (৩৫)। সেই সঙ্গে ননেহার বিবি ও রূপালি বিবি – এই দুই মহিলার নামও পাওয়া গিয়েছে।
এদিকে ভাদু শেখের বাড়ির পরিবারের লোকেরা সন্ধ্যা নামতেই ঘরের সব জিনিসপত্র একটি ভ্যানে তুলে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন। TV9 বাংলার ক্যামেরায় সেই দৃশ্যও ধরা পড়ে। তাঁদের আশঙ্কা সন্ধ্যার পর আবারও আক্রমণ হতে পারে। আর এই ঘটনাতেই ফের একবার প্রশ্নের মুখে উঠে গিয়েছে পুলিশের ভূমিকা। কেন সাধারণ মানুষ পুলিশের উপর আস্থা রাখতে পারছে না সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। সোমবারের ঘটনার পর থেকেই এলাকা কার্যত থমথমে। সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে চাইছেন না সাধারণ মানুষ। পুলিশ রয়েছে ঠিকই, কিন্তু ভরসা কি দিতে পারছেন কি তাঁরা? সেই প্রশ্ন ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে।