বীরভূম: বগটুইকাণ্ডে আরও তৎপর সিবিআই। শুক্রবার স্বজনহারাদের পরিবারের সাত জনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হবে। ময়নাতদন্তের সময়ে অগ্নিদগ্ধ দেহগুলি থেকে কিছুটা অংশ নিয়ে ডিএনএ টেস্ট করিয়ে রাখা হয়েছিল। দুটো নমুনা হাতে পাওয়ার পর এবার তা মিলিয়ে দেখবেন তদন্তকারীরা। আগেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছিল। জানা যাচ্ছে, সেন্ট্রাল ফরেনসিক ল্যাবে ডিএনএ টেস্ট করা হবে। তদন্তের অগ্রগতির জন্য এই ঘটনায় ধৃত ৮ জনের পলিগ্রাফ টেস্ট করানোর কথাও ভাবছেন তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যেই রামপুরহাট আদালতে সেই আবেদন জানানো হয়েছে।
এক্ষেত্রে একটি বিষয় উল্লেখ্য, পলিগ্রাফি টেস্ট কী? পলিগ্রাফি টেস্টের মাধ্যমে কোনও ব্যক্তিকে প্রশ্ন করা হয়, উত্তর দেওয়ার সময়ে তাঁর অভিব্যক্তি পর্যালোচনা করা হয়। অর্থাৎ কোনও ব্যক্তি মিথ্যা বলছেন কিনা, তার অভিব্যক্তিতেই ফুটে ওঠে। এছাড়াও জেরা পর্বে ওই ব্যক্তির রক্তচাপও লক্ষ্য করা হয়।
মঙ্গলবারই সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্যাম্পে অভিযুক্ত ১৯ জনকে জেরা করা হয়। তখনও মুখোমুখি বসিয়ে, কখনও আলাদাভাবে জেরা করা হয়। বগটুইকাণ্ডে এবার অভিযুক্তদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করেছে সিবিআই। অকুস্থল অর্থাৎ সোনা শেখের বাড়ি থেকে যে লোহার রড, তেলের জার, পর্দা ঝোলানোর রড, ধারালো অস্ত্র সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা, তা থেকে হাত ও আঙুলের ছাপ নেওয়া হবে। এছাড়াও সোনা শেখে ও আশেপাশের যে বাড়িগুলিতে ২১ মার্চ রাতে আগুন লাগানো হয়েছিল, সেখান থেকেই আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করছে সিবিআই। এরপর ধৃতদের আঙুলের ছাপের সঙ্গে সেই নমুনা মিলিয়ে দেখা হবে।
প্রসঙ্গত, এখনও পর্যন্ত ২২ জনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। আর সিবিআই গ্রেফতার করেছে চার জনকে। মুম্বই থেকে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়। জেরায় জানা গিয়েছে, ওই রাতে ঘটনাস্থলে ছিল চার জন। তারা নেতৃত্ব দিয়েছিল। তারপর তারা রামপুরহাট স্টেশন থেকে ট্রেনে ওঠে। মুম্বই পাড়ি দেয়। এক্ষেত্রে রামপুরহাট স্টেশনেরও সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে সিবিআই। মুম্বইতে একটি টিম তৈরি করে সিবিআই। তারা চার জনকে শণাক্ত করে নজর রাখছিল। চার জনের ওপর টেকনিক্যাল সার্ভিলেন্স চালানো হচ্ছিল। নজর রেখেই চার জনকে গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন: সিবিআইয়ের হাতে ১২১ জন তৃণমূল নেতার নাম, তালিকা ধরেই যাচ্ছে নোটিস; রয়েছেন ‘দাপুটে’রাও