Bagtui Massacre: বগটুই ‘হত্যাকান্ডে’ সিবিআই তদন্তে কি তবে চাপ বাড়ল কেষ্ট-বিষ্টুদের?

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Mar 25, 2022 | 2:53 PM

Bagtui Massacre: এমনিতেই গরু পাচার মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ব়্যাডারে আছেন বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত। এবার বগটুই গণহত্যায় তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ লড়াই নিয়ে তদন্ত শুরু হলে কেষ্ট মন্ডলদের ভূমিকাও খতিয়ে দেখতে পারে সিবিআই।

Follow Us

বীরভূম: বগটুই ‘হত্যাকান্ডে’ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। তাতে বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করছেন, সিবিআই তদন্তে চাপ বাড়ল কেষ্ট-বিষ্টুদের। চুনোপুটি দের জেলে পুরে কাজ সারতে চেয়েছিল তৃণমূলের সরকার। সামান্য ব্লক সভাপতিকে গ্রেফতার করেই রাঘব বোয়ালদের আড়াল করার চেষ্টা হয়েছে বলেও বিরোধীদের অভিযোগ। সিবিআই তদন্তভার নেওয়া মাত্র তৃণমূলের বীরভূম জেলার হর্তাকর্তারা প্রবল দুশ্চিন্তায় পড়ে গেলেন।

এমনিতেই গরু পাচার মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ব়্যাডারে আছেন বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত। এবার বগটুই গণহত্যায় তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ লড়াই নিয়ে তদন্ত শুরু হলে কেষ্ট মন্ডলদের ভূমিকাও খতিয়ে দেখতে পারে সিবিআই। বিরোধীরা এখন থেকেই বলতে শুরু করেছে কান টানলে মাথা আসে। ব্লক সভাপতি গ্রেফতারের সঙ্গে সঙ্গেই প্রশ্ন উঠেছে গণ হত্যার আগাম আঁচ আনারুল দের কাছে থাকলে বীরভূম জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে সেই আভাস ছিল না তা কি বিশ্বাস যোগ্য। গণ হত্যা ঘটে যাওয়ার পর দিন সকালেও কেষ্ট মন্ডল দাবি করেছে ওখানে শর্ট সার্কিট হয়েছে। তার মানে অনুব্রত আসল ঘটনা জেনেও ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। সিবিআই কি তাঁকে নিয়েও টানাটানি শুরু করবে। জানতে মুখিয়ে আছেন বীরভূম সহ গোটা বাংলার মানুষ।

অনুব্রত মণ্ডলকে বিরোধীদের অনেকেই কটাক্ষ করে বীরভূম জেলার ছোটো মুখ্যমন্ত্রী বলেন। এই অবস্থায় হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্তভার নেবে, বিরোধীরা অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত। বিরোধীরা মনে করছে, এই ঘটনার জের কেবল নীচুতলার ক্ষেত্রেই নয়, শাসকদলের ওপরতলা পর্যন্তও এর অভিসন্ধি ছড়িয়ে রয়েছে। বিরোধীরা আগে থেকেই দাবি করছিলেন, কান টানলে মাথা আসে। কিন্তু বারবারই প্রশাসন ও আইনের খাঁড়া নেমে এসেছে নীচু তলার কর্মীদের ওপর। তাঁদের সঙ্গেও যে জেলা নেতৃত্বের ভূমিকা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন, তার দাবি তুলছিলেন বিরোধীরা। বিরোধীদের বক্তব্য বিশেষ করে অনুব্রত মণ্ডলকে ঘিরেই। সিবিআই তদন্তভার হাতে নেওয়ার পর বিরোধীদেরই বক্তব্য, কান টানলে মাথা আসে। সেক্ষেত্রে সিটের কাছে আনারুল শেখ কী জবানবন্দি দেয় ও গোটা পরিস্থিতি বিবেচনার পর অনুব্রত মণ্ডলকে ডাকা হলেও হতে পারে। ডাকা হতে পারে জেলার অনান্য শীর্ষ নেতৃত্বকেও।


উল্লেখ্য, বাম জমানাতেও যে সব গণহত্যার ঘটনা ঘটেছিল, তাতে ডাক পড়েছিল নেতৃত্বদের। উল্লেখ্য়, ছোটো আঙারিয়ার সময়ে সিবিআই-এর ব়্যাডারে এসেছিলেন তৎকালীন মেদিনীপুরের জেলা সম্পাদক দীপক সরকার। বিরোধীদের বক্তব্য, এক্ষেত্রেও তেমনটা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমনিতেও অনুব্রত মণ্ডল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ব়্যাডারে রয়েছেন। গরু পাচার-বালি খাদান ইত্যাদি একাধিক বিষয়ে অনুব্রতকে জেরা করতে চান তদন্তকারীরা। তবে বিশেষ্ণরা এটাও মনে করছেন, অনুব্রত মণ্ডল যদি প্রথমেই নীরব থাকতেন, তাহলে তাঁর বিপন্নতা কমত। কিন্তু ঘটনার পরদিন সকালেই তিনি খাঁড়া করেছিলেন শর্ট সার্কিট তত্ত্ব। যা সিট নস্যাৎ করে দিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, তিনি কিছু না জেনে মন্তব্য করেছেন, নাকি ঘটনাকে লঘু করতে এই মন্তব্য করেছেন।

আরও পড়ুন: Bagtui Massacre: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই টনক নড়ল প্রশাসনের, অভিশপ্ত সেই পরিবারের বাকি সদস্যদের নিরাপত্তা

 

বীরভূম: বগটুই ‘হত্যাকান্ডে’ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। তাতে বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করছেন, সিবিআই তদন্তে চাপ বাড়ল কেষ্ট-বিষ্টুদের। চুনোপুটি দের জেলে পুরে কাজ সারতে চেয়েছিল তৃণমূলের সরকার। সামান্য ব্লক সভাপতিকে গ্রেফতার করেই রাঘব বোয়ালদের আড়াল করার চেষ্টা হয়েছে বলেও বিরোধীদের অভিযোগ। সিবিআই তদন্তভার নেওয়া মাত্র তৃণমূলের বীরভূম জেলার হর্তাকর্তারা প্রবল দুশ্চিন্তায় পড়ে গেলেন।

এমনিতেই গরু পাচার মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ব়্যাডারে আছেন বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত। এবার বগটুই গণহত্যায় তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ লড়াই নিয়ে তদন্ত শুরু হলে কেষ্ট মন্ডলদের ভূমিকাও খতিয়ে দেখতে পারে সিবিআই। বিরোধীরা এখন থেকেই বলতে শুরু করেছে কান টানলে মাথা আসে। ব্লক সভাপতি গ্রেফতারের সঙ্গে সঙ্গেই প্রশ্ন উঠেছে গণ হত্যার আগাম আঁচ আনারুল দের কাছে থাকলে বীরভূম জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে সেই আভাস ছিল না তা কি বিশ্বাস যোগ্য। গণ হত্যা ঘটে যাওয়ার পর দিন সকালেও কেষ্ট মন্ডল দাবি করেছে ওখানে শর্ট সার্কিট হয়েছে। তার মানে অনুব্রত আসল ঘটনা জেনেও ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। সিবিআই কি তাঁকে নিয়েও টানাটানি শুরু করবে। জানতে মুখিয়ে আছেন বীরভূম সহ গোটা বাংলার মানুষ।

অনুব্রত মণ্ডলকে বিরোধীদের অনেকেই কটাক্ষ করে বীরভূম জেলার ছোটো মুখ্যমন্ত্রী বলেন। এই অবস্থায় হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্তভার নেবে, বিরোধীরা অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত। বিরোধীরা মনে করছে, এই ঘটনার জের কেবল নীচুতলার ক্ষেত্রেই নয়, শাসকদলের ওপরতলা পর্যন্তও এর অভিসন্ধি ছড়িয়ে রয়েছে। বিরোধীরা আগে থেকেই দাবি করছিলেন, কান টানলে মাথা আসে। কিন্তু বারবারই প্রশাসন ও আইনের খাঁড়া নেমে এসেছে নীচু তলার কর্মীদের ওপর। তাঁদের সঙ্গেও যে জেলা নেতৃত্বের ভূমিকা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন, তার দাবি তুলছিলেন বিরোধীরা। বিরোধীদের বক্তব্য বিশেষ করে অনুব্রত মণ্ডলকে ঘিরেই। সিবিআই তদন্তভার হাতে নেওয়ার পর বিরোধীদেরই বক্তব্য, কান টানলে মাথা আসে। সেক্ষেত্রে সিটের কাছে আনারুল শেখ কী জবানবন্দি দেয় ও গোটা পরিস্থিতি বিবেচনার পর অনুব্রত মণ্ডলকে ডাকা হলেও হতে পারে। ডাকা হতে পারে জেলার অনান্য শীর্ষ নেতৃত্বকেও।


উল্লেখ্য, বাম জমানাতেও যে সব গণহত্যার ঘটনা ঘটেছিল, তাতে ডাক পড়েছিল নেতৃত্বদের। উল্লেখ্য়, ছোটো আঙারিয়ার সময়ে সিবিআই-এর ব়্যাডারে এসেছিলেন তৎকালীন মেদিনীপুরের জেলা সম্পাদক দীপক সরকার। বিরোধীদের বক্তব্য, এক্ষেত্রেও তেমনটা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমনিতেও অনুব্রত মণ্ডল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ব়্যাডারে রয়েছেন। গরু পাচার-বালি খাদান ইত্যাদি একাধিক বিষয়ে অনুব্রতকে জেরা করতে চান তদন্তকারীরা। তবে বিশেষ্ণরা এটাও মনে করছেন, অনুব্রত মণ্ডল যদি প্রথমেই নীরব থাকতেন, তাহলে তাঁর বিপন্নতা কমত। কিন্তু ঘটনার পরদিন সকালেই তিনি খাঁড়া করেছিলেন শর্ট সার্কিট তত্ত্ব। যা সিট নস্যাৎ করে দিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, তিনি কিছু না জেনে মন্তব্য করেছেন, নাকি ঘটনাকে লঘু করতে এই মন্তব্য করেছেন।

আরও পড়ুন: Bagtui Massacre: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই টনক নড়ল প্রশাসনের, অভিশপ্ত সেই পরিবারের বাকি সদস্যদের নিরাপত্তা

 

Next Article