Bagtui Massacre: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই টনক নড়ল প্রশাসনের, অভিশপ্ত সেই পরিবারের বাকি সদস্যদের নিরাপত্তা
Bagtui Massacre: উল্লেখ্য, ঘটনার প্রথম দিন থেকেই এই পরিবারের সদস্যরা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছিলেন।
বীরভূম: ওঁদের পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যেরই মৃত্যু হয়েছে। জীবিত রয়েছেন কয়েকজন। বগটুইয়ের অভিশপ্ত পরিবারের সেই জীবিত সদস্য়দের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করল প্রশাসন। বীরভূমের সাঁইথিয়ার বাতাসপুর এলাকায় তাঁরা গোপন আস্তানায় লুকিয়ে রয়েছেন। সেখানে তাঁদের নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হল পুলিশ। কনস্টাবেল-সহ বেশ কিছু সিভিক ভলেন্টিয়ার নিয়োগ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ঘটনার প্রথম দিন থেকেই এই পরিবারের সদস্যরা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছিলেন। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীও তাঁদের নিরাপত্তার বিষয়টি সুনিশ্চিত করার নির্দেশ দেন। এরপরেই আজ সকাল থেকে মোতাইন হয় পুলিশ।
বগটুইয়ে মুখ্যমন্ত্রীও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, যাদের বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাঁদের বাড়ির জীবিত সদস্যরা নিরাপদ নয়। যে কোনও সময়েই তাঁদের ওপর হামলা হতে পারে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন মহিলাও রয়েছে। এমনকি বাইরে থেকে লোক এনেও হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। পুলিশ প্রশাসনকে তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারপরই টনক নড়ে প্রশাসনের।
প্রশ্ন হচ্ছে, এই মানুষগুলোই ঘটনার পর থেকে নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। কিন্তু তখনও পুলিশ প্রশাসনের তরফে তাঁরা নিরাপত্তার জন্য কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। কেবল মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পাওয়ার পরই কি টনক নড়ল প্রশাসনের? কেবল তাঁরাই নন, বগটুইয়ের গ্রামবাসীরাও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। গোটা গ্রামই এখন ঘিরে ফেলা হয়েছে পুলিশে। বসেছে সিসিটিভি। সর্বক্ষণ চলছে প্রশাসনের নজরদারি। তবুও অভিশপ্ত সেই রাতের আতঙ্ক তাড়া করে বেরাচ্ছে তাঁদের।
বগটুই গ্রামে আজ, শুক্রবার দিল্লি থেকে আসছে সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি (CFSL)টিম। সঙ্গে থাকবেন সিটের আধিকারিকরাও। ‘হত্য়ালীলা’র নমুনা সংগ্রহ করবেন তাঁরা। গত বুধবারই কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ একটুও সময় নষ্ট না করে CFSL-কে ওই জায়গায় যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। সঙ্গে গোটা এলাকায় সিসিটিভি-তে মুড়ে ফেলারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বুধবার রাতভর কাজের পর তা সম্পন্নও হয়। তথ্য প্রমাণ যাতে কোনওভাবেই লোপাট না হতে পারে, তাতে তৎপর প্রশাসন।
আরও পড়ুন: Anarul Arrested on Bagtui Massacre: কে আনারুল হোসেন? কেন তড়িঘড়ি গ্রেফতার করালেন মমতা?