বীরভূম: লাগাতার চাপের মুখে এবার হোস্টেল খুলতে উদ্যোগী বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। রেজিস্ট্রারের তত্ত্বাবধানে একটি ইন্সপেকশন কমিটি বিষয়টি খতিয়ে দেখবে। কোভিড বিধি মেনে কটা ঘর খোলা যায় তা দেখা হবে। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ক্যাম্পাসের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে যা যা করণীয়, তা তারা করছে। গত কয়েকদিন ধরে যে অস্থির পরিস্থিতি সেখানে তৈরি হয়েছে তা কোনওভাবেই বিশ্বভারতীর কৌলিন্যের সঙ্গে খাপ খায় না। তবু অতি সম্প্রতি বার বার এক ছবি। উপাচার্যকে নিয়ে নানা অভিযোগ-অনুযোগ পড়ুয়াদের। সে আবহেই একাধিকবার শিরোনামে উঠে এসেছে বিশ্বের এই নামকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম।
৮৪ ঘণ্টা ঘেরাও থাকার পর পুলিশের হস্তক্ষেপে মুক্ত হন বিশ্বভারতীর রেজিস্ট্রার, জনসংযোগ আধিকারিক ও প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার। তবে ঘেরাও উঠলেও বিশ্বভারতীতে ছাত্র ছাত্রীদের আন্দোলন অব্যাহত। শুক্রবার বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল অফিসের সামনে দেখা যায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবারই শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ এসে রেজিস্ট্রার, জনসংযোগ আধিকারিক ও প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার-সহ অন্যান্য কর্মীদের ঘেরাও মুক্ত করে। কিন্তু বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল অফিসের সামনে এদিন পড়ুয়ারা বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের বক্তব্য, যতক্ষণ না পর্যন্ত দাবি মেনে নেওয়া হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত এই বিক্ষোভ চলবে।
গত সোমবার আন্দোলনের সূত্রপাত হয় পড়ুয়াদের হস্টেল খোলার দাবিকে কেন্দ্র করে। পড়ুয়ারা দাবি তোলেন, অবিলম্বে হোস্টেল খুলতে হবে, অনলাইনে পড়িয়ে অফলাইনে পরীক্ষা নেওয়া যাবে না, অবিলম্বে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সময়সীমা বাড়াতে হবে। এই নিয়ে সোমবার সকাল থেকেই উত্তাল হয় বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাস। ছাত্র-ছাত্রীদের তরফ থেকেই বিশ্বভারতী অচল করার ডাক দেওয়া হয়। সোমবার বিক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা পাঠভবনে ঢুকতে গেলে নিরাপত্তারক্ষীরা প্রথমে তাঁদের বাধা দেন বলে অভিযোগ ওঠে। তা থেকেই শুরু হয় তুমুল বচসা। মুহূর্তে সে বচসা হাতাহাতি, ধস্তাধস্তির চেহারা নেয়। একদিকে নিরাপত্তারক্ষীরা, অন্যদিকে পড়ুয়া! তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় বিশ্বভারতীতে। অভিযোগ, এরপরই পাঠভবনের গেট টপকে পড়ুয়ারা ভিতরে ঢুকে যান।
আরও পড়ুন: BJP Meeting: হাল ফেরাতে সকলকে বাঁধতে হবে এক সুরে! শনিবারই বঙ্গ বিজেপির ‘বিশেষ’ বৈঠক
আরও পড়ুন: Anis Khan Death: ফের জামিনের আবেদন খারিজ বামনেত্রী মীনাক্ষীর, আপাতত জেল হেফাজতেই ১৬ জন