Birbhum: ‘কী ভেবেছিলেন? সারা জীবন জেলেই থাকবেন?’ মধ্যরাতে ফেসবুক লাইভ, অনুব্রত ফিরতেই নয়া সমীকরণ

Birbhum: প্রসঙ্গত, দু'বছর আগে পর্যন্তও জেলায় তৃণমূলে শেষ কথা ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু অনুব্রতর জেল যাত্রা, আর তাঁর জেলায় প্রত্যাবর্তনের পর দলীয় সমীকরণে অনুব্রতের ‘কট্টর বিরোধী’ বলে পরিচিত বীরভূম জেলা সভাধিপতি কাজল শেখ অনেকটাই মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছেন।

Birbhum: 'কী ভেবেছিলেন? সারা জীবন জেলেই থাকবেন?' মধ্যরাতে ফেসবুক লাইভ, অনুব্রত ফিরতেই নয়া সমীকরণ
বাঁ দিকে, বিক্রমজিৎ সাউ, ডান দিকে প্রীতম দাসImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 30, 2024 | 3:43 PM

বীরভূম: অনুব্রত মণ্ডল ফিরতেই বীরভূমে তৃণমূলে গোষ্ঠীকোন্দল প্রকট হয়ে উঠছে। বীরভূমের টিএমসিপি জেলা সভাপতি বিক্রমজিৎ সাউয়ের বিরুদ্ধে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে নালিশ জানালেন টিএমসিপি-রই সহ সভাপতি প্রীতম দাস।

সম্প্রতি টিএমসিপি-র জেলা সভাপতি  বিক্রমজিৎ সাউ সম্প্রতি সামাজিক মাধ্য়মে একটি লাইভ করেন। সেখানে তিনি অনুব্রত মণ্ডলের সমর্থনে একাধিক কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘কী ভেবেছিলেন, সারা জীবন জেলেই থাকবেন?’ তিনি আরও বলেছিলেন, ‘অনুব্রত মণ্ডল যদি আটকে থাকেন, তাহলে অনেকেই খুশি হচ্ছেন!’ এই ধরনের একাধিক মন্তব্য করেছিলেন তিনি। আর তারপরই এই বিষয়টি উল্লেখ করে টিএমসিপি-র সহ সভাপতি অভিষেকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। তিনি লেখেন, “রাত ১০টা ১১ টা বাজলেই জেলার পদে থাকা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পদে থাকা কর্মী সমর্থকদের ফোন করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা, হুমকি দেওয়া, এমনকি রাত ১২ টা বাজলে লাইভ করে নাম না করে জেলার বিভিন্ন জনকে কুরুচিকর মন্তব্য করেন, আবার সকাল হলেই সেই লাইভ আর দেখা যায় না।” গোটা বিষয়টি দল যাতে গুরুত্ব দিয়ে দেখেন, তার আবেদন জানিয়ে চিঠি লেখেন তিনি।

প্রসঙ্গত, দু’বছর আগে পর্যন্তও জেলায় তৃণমূলে শেষ কথা ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু অনুব্রতর জেল যাত্রা, আর তাঁর জেলায় প্রত্যাবর্তনের পর দলীয় সমীকরণে অনুব্রতের ‘কট্টর বিরোধী’ বলে পরিচিত বীরভূম জেলা সভাধিপতি কাজল শেখ অনেকটাই মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছেন। আর সে বিরোধ প্রকাশ্যে এসেছে কোর কমিটির বৈঠক থেকে শুরু করে বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চেও। এবার ছাত্র পরিষদের কোন্দলের বিষয়টিও প্রকাশ্যে এল, জল গড়ায় উচ্চ নেতৃত্ব পর্যন্ত। যদিও এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি টিএমসিপি-র জেলা সভাপতি বিক্রমজিৎ সাউ।