TMC: ধাক্কা খেল বিজেপি; পঞ্চায়েত সদস্য-বুথ সভাপতির তৃণমূলে যোগ

Birbhum: দিন তিনেক আগে কড়িধ্যা পঞ্চায়েত এলাকার ঝোড়ামাঠ গ্রামে তৃণমূল বিজেপির সংঘর্ষ হয়। সেই সময় বিজেপির অভিযোগ ছিল, এলাকার তৃণমূল নেতারা ১০০ দিনের কাজের টাকায় কাটমানি চেয়েছিল। কিন্তু টাকা দিতে অস্বীকার করায় ঝামেলা হয়। যদিও তৃণমূলের দাবি, চাঁদা নিয়ে ঝামেলা।

TMC: ধাক্কা খেল বিজেপি; পঞ্চায়েত সদস্য-বুথ সভাপতির তৃণমূলে যোগ
চুমকি দেবাংশী যোগ দিলেন তৃণমূলে। Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 23, 2024 | 10:04 PM

বীরভূম: সিউড়িতে বিজেপিতে ভাঙন। সিউড়ি-১ ব্লকের কড়িধ্যা ঝোড়ামাঠ এলাকায় বিজেপি ছেড়ে প্রায় ১৫০টি পরিবার তৃণমূলে যোগ দিল। দিন তিনেক আগে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুলেছিল তৃণমূল। পাল্টা তৃণমূলের বিরুদ্ধেও মারধরের অভিযোগ তোলে তারা। ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই সেই এলাকায় বিজেপিতে ভাঙন। যদিও সেই ঝামেলার কথা এখন আর মানছেই না বিজেপি বা তৃণমূল। তারা বলছে, এসব পারিবারিক ঝামেলা। শুধু শুধু রাজনীতির রং লাগানো হচ্ছে।

দিন তিনেক আগে কড়িধ্যা পঞ্চায়েত এলাকার ঝোড়ামাঠ গ্রামে তৃণমূল বিজেপির সংঘর্ষ হয়। সেই সময় বিজেপির অভিযোগ ছিল, এলাকার তৃণমূল নেতারা ১০০ দিনের কাজের টাকায় কাটমানি চেয়েছিল। কিন্তু টাকা দিতে অস্বীকার করায় ঝামেলা হয়। যদিও তৃণমূলের দাবি, চাঁদা নিয়ে ঝামেলা।

সেই ঘটনায় ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য চুমকি দেবাংশীই তৃণমূলে চলে এলেন। যোগ দিয়ে চুমকি বলেন, “বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দিলাম। কাজ করতে চাই, তাই এসেছি।” তাঁর সঙ্গে এসেছেন বিজেপির বুথ সভাপতি সমীর অঙ্কুর। তাঁর কথায়, “তৃণমূলের উন্নয়ন দেখে যোগ দিলাম। আমরা তো বিজেপি তো থেকে কোনও উন্নয়নই করতে পারিনি। তাহলে থেকে আর লাভ কী?”

কড়িধ্যা তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি দেবাশিস চট্টোপাধ্যায় এই যোগদান প্রসঙ্গে বলেন, “বিজেপির ওই পঞ্চায়েত সদস্য ১২ মার্চ লোকসভা আগে চিঠি দিয়েছিলেন। আজ বিকাশদা তাতে অনুমোদন দেন। তিনি যোগ দিলেন।” আর দু’দিন আগের ঝামেলা প্রসঙ্গে তাঁর দাবি, ওরা সবই তৃণমূলের ছিল। আর এক সংসারে ঠোকাঠুকি লাগতেই পারে। যোগদানের সঙ্গে ঝামেলার কোনও ঝামেলাই নেই। বিজেপি ছেড়ে আসা সমীর অঙ্কুরও বলেন, ওসব বাড়ি বাড়ির ঝামেলা। কিছুই না।

তবে বিজেপি বীরভূম সংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহার কথায়, “পুলিশকে দিয়ে হয়রানি করানো হচ্ছে। বিজেপিকে ভাঙতে চাইছে ওরা। কিন্তু বাঘকে বন থেকে আনা হলেও বাঘের মনে বনই থাকবে। ওই গ্রামের মানুষের মনেও বিজেপিই থাকবে। সদস্যর মনেও পদ্মফুল থাকবে।” যদিও তৃণমূলের জেলা কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরীর দাবি, ভয় দেখিয়ে দলে টানায় তাঁরা বিশ্বাসী নন।