বীরভূম: গ্রেফতার বীরভূম তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী টুলু মণ্ডল। গরু পাচারের মামলায় দিল্লিতে একাধিকবার জেরা করা হয় তাঁকে। ইডি-র র্যাডারে আগে থেকেই ছিলেন টুলু মণ্ডল। তার মধ্যেই রবিবার তাঁকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ। একটি খুনের ঘটনায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা যাচ্ছে,চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের ৩ তারিখ খুনের ঘটনা ঘটে। মহম্মদবাজার এলাকায় এক যুবককে মারধরের অভিযোগ ওঠে। পরবর্তীতে ওই যুবকের মৃত্যু হয়। তার প্রেক্ষিতে আইপিসি-র ৩০২ ধারায় মামলা রুজু হয়। টুলু মণ্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। তাঁকে রবিবার সকালে গ্রেফতার করা হয়। সিউড়ি আদালতে আজই পেশ করা হয় টুলু মণ্ডলকে। তবে তাঁকে গ্রেফতারির পর থেকেই একাধিক প্রশ্ন উঠে আসছে। অনুব্রত মণ্ডলের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী টুলু। অনুব্রতর বাড়িতে তাঁকে প্রায়ই দেখা যেত। এমনকি অনুব্রতর একাধিক সভাতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে।
গরু পাচারের মামলায় টুলু মণ্ডলের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। সেখান থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিও উদ্ধার হয়। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ইডি-র তরফে তাঁকে হাজিরা দেওয়ার নোটিস পাঠানো হয়। দিল্লিতে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়। শুক্রবার তিনি হাজিরাও দেন। এরই মধ্যে রাজ্য পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেন টুলু। তাহলে কি কাউকে বাঁচানোর জন্যই গ্রেফতার করা হল তাঁকে? প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। কারণ টুলু মণ্ডল এখন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাদের র্যাডারে। প্রশ্ন উঠছে, সেপ্টেম্বরের একটি খুনের ঘটনায় কেন নভেম্বরে এসে গ্রেফতার?
টুলু মণ্ডল নামে এই ব্যবসায়ী কেন ইডি-র র্যাডারে?
সূত্রের খবর, টুলুর নাম প্রথমে উঠে আসে অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে জেরায়। জানা যাচ্ছে, মূলত পাথর ব্যবসায়ী টুলুর আয়কর দফতরে দেখানো টার্ন ওভার কয়েকশো কোটি টাকা। তদন্তে ইডি আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, গরু পাচারের ক্ষেত্রে টুলুর দায়িত্ব ছিল পাচারের গাড়ি যাতে নির্বিঘ্নে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে যায়। এই কারণেই তাঁকে একাধিকবার জেরা করেছেন ইডি আধিকারিকরা।
ইডির তদন্তের মাঝেই রাজ্য পুলিশের হাতে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীর গ্রেফতারি প্রসঙ্গে সরব বিজেপি। এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেছেন, “অনুব্রত মণ্ডল পুরোপুরি ফেঁসে গিয়েছে। এখন তার সূত্র ধরে কালীঘাট পর্যন্ত পৌঁছে যাবে। কোনওভাবে যাতে সেটা সম্ভব না হয়, তাই যে সমস্ত ব্যবসায়ীর মাধ্যমে এই দুর্নীতি হয়েছে, তাঁদেরকে গ্রেফতার করে আসল অপরাধীরা বাঁচার চেষ্টা করছেন।”