রামপুরহাট : বগটুইকাণ্ডে আরও একজনকে গ্রেফতার করল সিবিআই। ধৃতের নাম রিটন শেখ। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, বগটুইকাণ্ডে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে রিটনের নাম পাওয়া যায়। তারপরই তাঁকে ধরতে জাল বিছোয় তারা। বুধবার রাতে বীরভূম থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ ধৃতকে রামপুরহাট মহকুমা আদালতে তুলে সিবিআই তাঁকে ৩ দিনের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায়। বিচারক সেই আবেদন মঞ্জুর করেন। রিটনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই ঘটনার পিছনে মূল মাথা কারা, তা জানা যেতে পারে বলে মনে করছেন সিবিআই আধিকারিকরা।
কে এই রিটন শেখ?
জানা গিয়েছে, রিটন শেখ বগটুইকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত আনারুল হোসেনের সঙ্গী। তাঁর বাড়ি বগটুইয়ে। অভিযোগ, হামলার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন তিনি। হামলার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন রিটন। তাঁকে ধরতে জাল বিছিয়েছিল সিবিআই।
২১ মার্চ কী হয়েছিল বগটুইয়ে?
২১ মার্চ রাতে রামপুরহাট-১ ব্লকের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুন হন। ভাদু শেখের বাড়ি বগটুই গ্রামে। এরপর ওই রাতেই একের পর এক বাড়িতে আগুন লাগে। নারী, শিশুসহ মৃত্যু হয় ৯ জনের। মৃতদের পরিবারের অভিযোগ, ভাদু শেখের লোকজন বাড়িতে ঢুকে হামলা চালায়। পেট্রল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেয়।
ঘটনার পর পুলিশ তদন্তে নামে। অভিযোগ ওঠে, তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেনের নির্দেশে বাড়িগুলিতে আগুন লাগানো হয়। ২৪ মার্চ বগটুইয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনাস্থল থেকেই আনারুলকে গ্রেফতার করার কথা বলেন তিনি। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তারাপীঠ থেকে আনারুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এই ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে সিবিআই। তদন্তে নেমে বগটুইকাণ্ডে মুম্বই থেকে চারজনকে গ্রেফতার করে সিবিআই। জেরায় জানা গিয়েছে, ওই রাতে ঘটনাস্থলেই ছিল ওই চারজন। তারপর রামপুরহাট স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠে। পাড়ি দেয় মুম্বই। সেখানে ভুয়ো পরিচয় দিয়ে ঘর ভাড়াও নিয়েছিল। কাজকর্মের চেষ্টা করছিল।
এই চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই রিটনের নাম পাওয়া গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। এখন রিটন শেখকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই ঘটনার পিছনে মাথাদের কাছে পৌঁছতে চাইছে সিবিআই। এখন দেখার, রিটনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কার নাম উঠে আসে।