রামপুরহাট : বগটুই হত্যাকাণ্ডে (Bagtui Massacre) ধৃত আনারুলকে রবিবার ম্যারাথন জেরা করেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসাররা। টানা আট ঘণ্টা ধরে তাকে জেরা করা হয়। বীরভূমে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের যে অস্থায়ী ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে, সেখানেই জেরা করা হয় ধৃত আনারুলকে। পরবর্তীতে ফের আনারুলকে জেরা করতে পারেন সিবিআই অফিসাররা। রবিবার দীর্ঘক্ষণ আনারুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর প্রথমে তাকে রামপুরহাট হাসপাতাল এবং পরে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।জানা গিয়েছে, এরপরেও সিবিআই তাকে আরও জেরা করতে পারে। কারণ, পুলিশি তদন্তে তাকে ঘটনার মাস্টার মাইন্ড বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। ফলে তাকে আরও জেরা করে অন্যান্য তথ্য উঠে আসতে পারে এবং সেই সঙ্গে অন্যান্য অভিযুক্তদের বিষয়েও তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
এদিকে রামপুরহাট হত্য়াকাণ্ডের তদন্তে এবার মিহিলাল শেখকে তলব করেছেন সিবিআই অফিসাররা। আগামিকাল অর্থাৎ, সোমবার সকাল ১০ টায় তাঁকে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে ডেকে পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য, বগটুই গ্রামের বাসিন্দা মিহিলাল শেখ এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী। মিহিলাল শেখ যে ঘটনা দেখেছিলেন তা তিনি বার বার সংবাদ মাধ্যমের সামনে জানিয়েছিলেন। সেই সূত্র ধরেই তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, মিহিলাল শেখকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য উঠে আসতে পারে গোয়েন্দাদের হাতে।
বগটুইয়ের নৃশংসতায় অগ্নিদগ্ধ নাজেমা বিবির শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাঁকে বর্তমানে ভেন্টিলেশনে পাঠানো হয়েছে। অগ্নিদগ্ধ হয়ে তাঁর শরীরের ৬৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। বর্তমানে তাঁর পরিবারের লোকেরাও হাসপাতালে রয়েছেন তাঁকে দেখার জন্য। উল্লেখ্য, নাজেমা বিবিকে হাসপাতালে ভর্তির সময় থেকেই তাঁর নিরাপত্তার জন্য পুলিশি কড়া প্রহরা রাখা হয়েছে হাসপাতালে। বাইরের কাউকেই এই মুহূর্তে তাঁর কাছে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। তবে আগামী দিনে তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে সিবিআই অফিসাররা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন কি না, সেটাই দেখার।
আরও পড়ুন : Mamata Banerjee on Police: বগটুইয়ে পুলিশের ভূমিকায় খুশি নন, তবু বুঝিয়ে দিলেন রাজ্য পুলিশেরই পাশে তিনি