বীরভূম: বৃহস্পতিবার বগটুই যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ ডুমুরজলা থেকে হেলিকপ্টারে রওনা দেবেন তিনি। বগটুই পৌঁছে ঘটনাস্থলে ঘুরে দেখবেন তিনি। তারপর হাসপাতালে যাবেন। সেখানে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ৪ জন ভর্তি রয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলবেন। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। কথা বলবেন সিটের আধিকারিকদের সঙ্গে। তদন্তের গতিপ্রকৃতি খতিয়ে দেখবেন তিনি। উল্লেখ্য এদিনই, দুপুর ২টোর মধ্যে হাইকোর্টে তদন্তের গতি নিয়ে রিপোর্ট জমা দিতে হবে সিটকে। বুধবারই হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেলকে প্রশ্ন করে সিবিআই কি প্রস্তুত এই ঘটনার তদন্তভার নিতে। কেন্দ্রের তরফ থেকে ইতিবাচক উত্তর দেওয়া হয়।
বুধবারের মামলার শুরুতেই প্রধান বিচারপতি অ্যাডকোভেট জেনারলেন এস এন মুখোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করেন, আজই যদি এই তদন্ত সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়া হয়, তাহলে রাজ্যের কোনও আপত্তি রয়েছে কিনা। এ বিষয়ে এজি জানান, যেহেতু সিট কাজ করছে, তাই এখনই সিবিআই নয়। তারপরই কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেলকে এই প্রশ্ন করেন।
ইতিমধ্যেই বগটুই কান্ডে ২৩ জনকে গ্রেফতার করেছে সিট। এদিকে, হাইকোর্টের নির্দেশের পরই রাতারাতি বগটুইয়ে পুড়ে যাওয়ার বাড়ি ও তার আশেপাশের এলাকাগুলিকে সিসিটিভি বসানো হয়েছে। ৩২ টা সিসিটিভি বসানো হয়েছে। প্রয়োজনে সে সংখ্যাটা আরও বাড়ানো হতে পারে বলে খবর।
বুধবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বগটুই যাওয়ার কথা ছিল। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দাঁড়িয়ে তেমনটাই জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু যেহেতু বিরোধীরা সেখানে গিয়েছিলেন, তাই আজ, বৃহস্পতিবার তিনি বগটুই যাচ্ছেন। সবথেকে উল্লেখ্যযোগ্য বিষয় হল, এই ঘটনার রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়েই বড় প্রশ্ন তুলছেন স্বজনহারারা। তাঁদের বক্তব্য, দীর্ঘক্ষণ গ্রামে ঢুকতেই পারেনি দমকল। এক্ষেত্রে প্রশ্ন, দমকলকে কারা আটকেছিল? প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, পুলিশের সামনেই ভাদু বাহিনী তাণ্ডব চালিয়েছে। কেন দর্শক পুলিশ? সে প্রশ্নও থাকছে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে পুলিশমন্ত্রী কী বলবেন, স্বজনহারাদের কী আশ্বাস দেবেন, সেটাই দেখার।
এদিকে, আজই বগটুই যাচ্ছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সঙ্গে রয়েছেন প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষও। ইতিমধ্যেই বগটুইয়ের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন তাঁরা।