বোলপুর: বীরভূম জেলায় তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠক সারলেন দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এখনও জেলবন্দি। স্বাভাবিকভাবেই বৈঠকেও অনুপস্থিত ছিলেন তিনি। যে অনুব্রত মণ্ডলের অঙ্গুলিহেলনে বীরভূমে তৃণমূলের সংগঠন চলে, এদিনের সাংগঠনিক বৈঠকে উঠল কি কেষ্টর প্রসঙ্গ? সাংগঠনিক বৈঠক শেষে অনুব্রত মণ্ডল প্রসঙ্গে প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যের মন্ত্রী তথা দলের জেলা পরিদর্শক ফিরহাদ হাকিম জানালেন, এটি একটি গেট টুগেদার ছিল। খুব হইহই করে, হাসি-ঠাট্টা করে হয়েছে। সঙ্গে ফিরহাদ আরও জানান, এদিন রাজনৈতিক কোনও আলোচনা হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী এসে সবার সঙ্গে দেখা করলেন।
এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বীরভূম জেলা সফর ঘিরে বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার লাগানো হয়েছে। কিন্তু সেখানে অনুব্রত মণ্ডলের পোস্টারও দেখা যায়নি। কেন পোস্টারে অনুব্রতর ছবি নেই, এবার সেই ব্যাখ্যাও দিলেন ফিরহাদ হাকিম। বললেন, ‘এই ছবিগুলি লাগানো হয়েছে, যাঁরা আসছেন তাঁদের স্বাগত জানানোর জন্য। সাধারণত মুখ্যমন্ত্রী ও অভিষেকের ছবি থাকে। এছাড়া যাঁরা যাঁরা আসেন, তাঁদের ছবি থাকে স্বাগত জানানোর জন্য।’ এর আগে অনুব্রত মণ্ডলকে বাঘের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন ফিরহাদ হাকিম। এদিন অনুব্রতর অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে বললেন, ‘আজ একটি চক্রান্তের জন্য তিনি নেই। জেলে ঢুকিয়ে রেখে দিয়েছে। আদালত যেদিন ন্যায়বিচার দেবেন, সেদিন নিশ্চিতভাবে আবার আসবে।’
পাশাপাশি অনুব্রত মণ্ডল যে প্রভাবশালী নন, সেই কথাও বললেন দলের জেলা পরিদর্শক ফিরহাদ হাকিম। তাঁর ব্যাখ্যা, তাঁদের হাত জোড় করে মানুষের কাছে যেতে হয়। সংবাদমাধ্যমের কাছেও হাত জোড় করে যেতে হয়। ফলে, কেষ্ট মণ্ডল বা তিনি নিজেও প্রভাবশালী নন বলেই ব্যাখ্যা করেন ফিরহাদ। প্রসঙ্গত, অনুব্রত মণ্ডলের এই প্রভাবশালী তত্ত্বেই একাধিকবার তাঁর জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করতে দেখা গিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবীদের। তবে ফিরহাদ হাকিমের ব্যাখ্যা, তিনি বা অনুব্রত মণ্ডল কেউই প্রভাবশালী নন।