Bagtui Massacre: ‘লাশ গায়েব করে দেওয়া হবে না তো!’, আশঙ্কায় কেঁদে ফেললেন নাজেমার স্বামী

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Mar 28, 2022 | 8:59 PM

Bagtui Massacre: শরীরের ৬৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল নাজেমার। নাজেমা বিবির রক্তচাপ অস্বাভাবিক ছিল। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে সারা শরীরে। ঘটনার এক সপ্তাহ পর সোমবার মৃত্যু হয়েছে তাঁর।

Bagtui Massacre: লাশ গায়েব করে দেওয়া হবে না তো!, আশঙ্কায় কেঁদে ফেললেন নাজেমার স্বামী
মৃত নাজেমার স্বামী শেখলাল শেখ

Follow Us

বগটুই : মূল ঘটনার পর প্রায় এক সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। এরকমই এক সোমবার রাতে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে। আর তাতে দগ্ধ হয়ে শেষ হয়ে যায় একাধিক গ্রামবাসী। স্বজনহারাদের চোখের জল শুকোয়নি এখনও। আর এরই মধ্যে আবারও মৃত্যুর খবর বগটুইতে। ওই রাতে আগুনে পুড়ে গেলেও প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন কেউ কেউ। হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তাঁরা। আজ, সোমবার সকালে মৃত্যু হয় হাসপাতালে ভর্তি থাকা নাজেমা বিবির। তারপর সামনে এসেছে পরিবারের নতুন আশঙ্কা। তাঁর স্বামী শেখলাল শেখের একটাই ভয়, মৃতদেহ সরিয়ে না ফেলা হয়।

গত কয়েকদিন ধরে কার্যত যমে-মানুষে টানাটানির পর সোমবার রামপুরহাট হাসপাতালে মৃত্যু হল বগটুইয়ের নারকীয় কাণ্ডের শিকার নাজেমা বিবির। শরীরের ৬৫ শতাংশ ঝলসে যাওয়ায় অবস্থার অবনতি হয়। আরও এক সদস্যকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছে নাজেমার পরিবার। তাঁর স্বামী শেখলাল শেখের আর্জি, মৃতদেহ যেন তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়, যাতে অন্তত রীতি মেনে কবর দিতে পারেন তাঁরা।

এ দিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কেঁদে ফেলেন শেখলাল। কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলতে থাকেন,  ‘লাশ গায়েব না করে দেওয়া হয়। লাশ যেন আমাদের হাতে দেওয়া হয়, যাতে আমরা দফন করতে পারি।’ শেখলাল জানান, তিনি তাঁর নিজের মা, ভাইয়ের স্ত্রী, বোন, ভাইয়ের পরিবার অন্যন্য সদস্যদের কাউকেই মাটি দিতে (কবরস্থ করতে) পারেননি। পরিবারের এতজন সদস্যকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছেন শেখলাল। তিনি বলেন,’আমাদের আর বেঁচে থাকার ইচ্ছে নেই। আমরা চলে গেল ভাল হত।’

দেহ গায়েব করার আশঙ্কার পাশাপাশি তাঁর দাবি এসডিপিও-র বাসভবন তাঁর বাড়ির একেবারে কাছে। থানাও খুব বেশি দূরে নয়। তা সত্ত্বেও আসেনি কেউ। শেখলাল জানান এসডিপিও তাঁদের পাড়াতেই থাকেন। হেঁটে গেলেও ৫ মিনিট লাগবে। আর থানা থেকে গাড়ি নিয়ে তাঁর বাড়ি পৌঁছতে লাগে ৮ থেকে ১০ মিনিট। এতবার বোমা পড়া সত্ত্বেও কেন পুলিশ গেল না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। শেখলাল জানিয়েছেন, রাত ৯ টা থেকে সাড়ে ৯ টার মধ্যে আগুন লাগলেও, সেই আগুন নেভাতে দমকল যায় মঙ্গলবার সকালে। স্ত্রীর মৃত্যুর পর ফের একবার প্রশাসনের দিকে আঙুল তুলেছেন তিনি।

আরও পড়ুন: Bagtui Massacre: ধন্দ বাড়াচ্ছেন মিহিলাল! বহু টালবাহানার পর সিবিআই ক্যাম্পে, বসানো হল আনারুলের মুখোমুখি

Next Article