বীরভূম : জেলার নেতা অনুব্রত মণ্ডল গরু পাচার মামলায় জেল হেফাজতে রয়েছেন। বীরভূমের ওপর দিয়েই নাকি গরু পাচার চলত, এমনটাই অভিযোগ। কিন্তু সেই জেলায় বালি পাচারের ছবিটা ঠিক কেমন? TV9 বাংলার হাতে যে ছবি উঠে এসেছে, তা কার্যত ভয়ঙ্কর। নদীর চর, ধানজমির তলা, এমনকী সেতুর নীচ থেকেও অবাধে তোলা হচ্ছে বালি। গাড়ি ভরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সেই বালি। এলাকার মানুষজনের দাবি, পুলিশ বা নেতাদের বলে কোনও লাভ নেই। কোন নেতার কাজ? কেন পুলিশ কিছু বলছেন না? এ সব প্রশ্নের উত্তর চাইলে ভয়েই পালিয়ে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
বীরভূমের একটা বিস্তীর্ণ অংশে এই ছবি ধরা পড়েছে। ক্যামেরা দেখলে দৌড় দিচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা। মাফিয়াদের ভয়ে মুখে কুলুপ এলাকাবাসীর? এক কৃষক সাহস করে ক্যামেরার সামনে এসে জানালেন, মুখ খুললে মেরে বালির চরে পুঁতে ফেলা হবে, এমন হুমকিও দেওয়া হয় তাঁদের। ওই কৃষকের আরও দাবি, পুলিশ-প্রশাসনকে জানিয়ে কোনও লাভ নেই।
দেখা যাচ্ছে, কতদূর অবধি বালি তোলা যাবে, তার একটা সীমা নির্দিষ্ট করা আছে সরকারের তরফে। সেই দাগ থেকে অন্তত ২ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত বালি তোলা হচ্ছে, এমন ছবিও ধরা পড়েছে। জাতীয় সড়কের পাশে চাষের জমির ওপর স্তূপ করা রয়েছে সে সব বালি। ওই রাস্তা দিয়ে পুলিশ বা প্রশাসনিক আধিকারিকদের গাড়ি যাতায়াত করে। কারও কি চোখে পড়ে না?
আর এক কৃষক জানালেন, বালি তোলার জন্য ভেঙে দেওয়া হয়েছে অজয় নদীর বাঁধ। জল বাড়লে গ্রামের পর গ্রাম ভেসে যেতে পারে জেনেও কারা করছেন এমন কাজ? প্রশ্ন সেটাই। আরও ভয়ঙ্কর অভিযোগ হল, সেতুর নীচ থেকে তুলে নেওয়া হচ্ছে বালি। অবন সেতু আর রেল ব্রিজ দুটোই এই জেলার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেতুর কতটা ক্ষতি হচ্ছে, সে প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে।
TV9 বাংলার তরফ থেকে সরকারি দফতরে যোগাযোগ করতে জানানো হল, পুলিশকে বলে ব্যবস্থা নেবেন তাঁরা। মুখ্যসচিবের নির্দেশে ওই মাফিয়ারাজে নজরদারি চালানোর জন্য তিন সদস্যের কমিটি গড়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সরকারি আধিকারিকদের দাবি, যা কর্মীর সংখ্যা তাতে অফিসের সাধারণ কাজ চালানোই মুস্কিল হয়ে যাচ্ছে, নজর রাখবে কে? সাংবাদিকের সামনেই ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিক থানায় ফোন করেছেন। এফআইআর করে কড়া পদক্ষেপ করার আশ্বাসও দিলেন তাঁরা।
চাষের জমির মাটি জেসিবি মেশিন দিয়ে তুলে মাটির নীচ থেকে বালি তোলা হচ্ছে, এমন অভিযোগও সামনে এসেছে। কেউ বলছেন বালি কলকাতার কাউন্সিলরের, কেউ বলছেন বীরভূমের নেতার। এ ভাবেই কোটি কোটি টাকার বালি পাচারের অভিযোগ সামনে আসছে কেষ্ট-ভূমি থেকে।
বীরভূম : জেলার নেতা অনুব্রত মণ্ডল গরু পাচার মামলায় জেল হেফাজতে রয়েছেন। বীরভূমের ওপর দিয়েই নাকি গরু পাচার চলত, এমনটাই অভিযোগ। কিন্তু সেই জেলায় বালি পাচারের ছবিটা ঠিক কেমন? TV9 বাংলার হাতে যে ছবি উঠে এসেছে, তা কার্যত ভয়ঙ্কর। নদীর চর, ধানজমির তলা, এমনকী সেতুর নীচ থেকেও অবাধে তোলা হচ্ছে বালি। গাড়ি ভরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সেই বালি। এলাকার মানুষজনের দাবি, পুলিশ বা নেতাদের বলে কোনও লাভ নেই। কোন নেতার কাজ? কেন পুলিশ কিছু বলছেন না? এ সব প্রশ্নের উত্তর চাইলে ভয়েই পালিয়ে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
বীরভূমের একটা বিস্তীর্ণ অংশে এই ছবি ধরা পড়েছে। ক্যামেরা দেখলে দৌড় দিচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা। মাফিয়াদের ভয়ে মুখে কুলুপ এলাকাবাসীর? এক কৃষক সাহস করে ক্যামেরার সামনে এসে জানালেন, মুখ খুললে মেরে বালির চরে পুঁতে ফেলা হবে, এমন হুমকিও দেওয়া হয় তাঁদের। ওই কৃষকের আরও দাবি, পুলিশ-প্রশাসনকে জানিয়ে কোনও লাভ নেই।
দেখা যাচ্ছে, কতদূর অবধি বালি তোলা যাবে, তার একটা সীমা নির্দিষ্ট করা আছে সরকারের তরফে। সেই দাগ থেকে অন্তত ২ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত বালি তোলা হচ্ছে, এমন ছবিও ধরা পড়েছে। জাতীয় সড়কের পাশে চাষের জমির ওপর স্তূপ করা রয়েছে সে সব বালি। ওই রাস্তা দিয়ে পুলিশ বা প্রশাসনিক আধিকারিকদের গাড়ি যাতায়াত করে। কারও কি চোখে পড়ে না?
আর এক কৃষক জানালেন, বালি তোলার জন্য ভেঙে দেওয়া হয়েছে অজয় নদীর বাঁধ। জল বাড়লে গ্রামের পর গ্রাম ভেসে যেতে পারে জেনেও কারা করছেন এমন কাজ? প্রশ্ন সেটাই। আরও ভয়ঙ্কর অভিযোগ হল, সেতুর নীচ থেকে তুলে নেওয়া হচ্ছে বালি। অবন সেতু আর রেল ব্রিজ দুটোই এই জেলার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেতুর কতটা ক্ষতি হচ্ছে, সে প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে।
TV9 বাংলার তরফ থেকে সরকারি দফতরে যোগাযোগ করতে জানানো হল, পুলিশকে বলে ব্যবস্থা নেবেন তাঁরা। মুখ্যসচিবের নির্দেশে ওই মাফিয়ারাজে নজরদারি চালানোর জন্য তিন সদস্যের কমিটি গড়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সরকারি আধিকারিকদের দাবি, যা কর্মীর সংখ্যা তাতে অফিসের সাধারণ কাজ চালানোই মুস্কিল হয়ে যাচ্ছে, নজর রাখবে কে? সাংবাদিকের সামনেই ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিক থানায় ফোন করেছেন। এফআইআর করে কড়া পদক্ষেপ করার আশ্বাসও দিলেন তাঁরা।
চাষের জমির মাটি জেসিবি মেশিন দিয়ে তুলে মাটির নীচ থেকে বালি তোলা হচ্ছে, এমন অভিযোগও সামনে এসেছে। কেউ বলছেন বালি কলকাতার কাউন্সিলরের, কেউ বলছেন বীরভূমের নেতার। এ ভাবেই কোটি কোটি টাকার বালি পাচারের অভিযোগ সামনে আসছে কেষ্ট-ভূমি থেকে।