বীরভূম: কেষ্ট-হীন বীরভূমে আবারও ভাঙন তৃণমূলে (Trinamool Congrss)। শনিবার ফের তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিলেন প্রায় ৫০০ জন কর্মী ও সমর্থক। এবার বীরভূমের (Birbhum) হাঁসনে। বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারি পরবর্তী সময়ে বার বার শাসক শিবিরে ভাঙন দেখা গিয়েছে। কখনও দেখা গিয়েছে ঘাসফুল ছেড়ে লাল ঝান্ডা হাতে তুলতে। আবার কখনও দেখা গিয়েছে কংগ্রেসের হাত ধরতে। শনিবার হাঁসন বিধানসভা কেন্দ্রের শীতলগ্রাম পঞ্চায়েতের বাঁধখেলা গ্রামে প্রায় ৫০০ কর্মী ও সমর্থক শাসক শিবির ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিলেন। সদ্য কংগ্রেসে আসা কর্মী ও সমর্থকদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি তথা প্রাক্তন বিধায়ক মিল্টন রশিদ। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস নেতা মনোজ চক্রবর্তীও।
উল্লেখ্য, সামনেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন রয়েছে। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে বাংলায় বড় নির্বাচন বলতে এই পঞ্চায়েত ভোটই। ভোট দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা হয়নি, কিন্তু ইতিমধ্যেই বেজে গিয়েছে ভোটের দামামা। প্রতিটি রাজনৈতিক দলই নিজের মতো করে ঘুঁটি সাজাতে শুরু করে দিয়েছে। আর কেষ্টহীন বীরভূমে নিজেদের পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে উঠে পড়ে লেগেছে বিরোধী দলগুলি। তৃণমূলের নীচুতলার কর্মী ও সমর্থকদের ছিনিয়ে এনে চলছে শক্তি প্রদর্শনের পালা। শনিবার তেমনই একটি দৃশ্য দেখা গেল বীরভূমের হাঁসনে। প্রায় ৫০০ কর্মী ও সমর্থক তৃণমূল ছেড়ে যোগ দিলেন কংগ্রেসে।
কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব বলছে, ‘তৃণমূলের চুরি দেখে দেখে আর সহ্য করতে না পেরে তৃণমূলের কর্মী ও সমর্থকরা কংগ্রেসে যোগ দিলেন। এই অঞ্চল আগে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের হাতেই ছিল। আবার এই অঞ্চল আমাদের দখলে আসবে।’ অর্থাৎ, কংগ্রেস নেতৃত্ব বুঝিয়ে দিতে চাইল, আসন্ন পঞ্চায়েতে এই এলাকা থেকে তৃণমূলকে জোর টক্কর দেবে তারা। যদিও এই যোগদানের বিষয়ে শাসক শিবির তৃণমূলের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।