বোলপুর: বিশ্বভারতীর অভ্যন্তরে পড়ুয়া থেকে অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের সঙ্গে উপাচার্যের বিরোধ লেগেই রয়েছে। নানান বিনিয়ম, একাধিক অধ্যাপক-অধ্যাপিকা,পড়ুয়াকে সাসপেন্ড প্রসঙ্গে এবার রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হলেন বিশ্বভারতীর অধ্যাপক অ্যাসোসিয়েশন। বিশ্বভারতীর বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর অপসারণের দাবিতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মর্মুকে চিঠি দিলেন অধ্যাপক অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা।
বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে বিশ্বভারতীর বর্তমান পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে শুক্রবার চিঠি দিয়েছেন বিশ্বভারতী অধ্যাপক সংগঠনের সদস্যরা। তাঁদের অভিযোগ, নিয়ম-কানুন ভেঙে কাজ করছেন বিশ্বভারতীর বর্তমান উপাচার্য। এছাড়া আর্থিক দুর্নীতি, কর্মী থেকে পড়ুয়াদের বরখাস্ত করা, কর্মীদের পেনশন-বেতন আটকে দেওয়া সহ বহু অভিযোগ রয়েছে উপাচার্যের বিরুদ্ধে। চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বিশ্বভারতীর অধ্যাপক থেকে কর্মীরা চরম উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। সবমিলিয়ে, আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন উপাচার্য।
উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নিষ্ঠুর মনোভাবের জন্য বিশ্বভারতীর পড়াশোনার পরিবেশও সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হচ্ছে বলেও রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া চিঠিতে দাবি করা হয়েছে। চিঠিতে লেখা হয়েছে, অধ্যাপক- কর্মীদের চাকরি থেকে অপসারণ, পদ থেকে অবনমন, বেতন বন্ধ, অবসরের সুবিধা বন্ধ সহ ৪০০ জন কর্মচারীর উপর দিনের পর দিন নিষ্ঠুর মনোভাবের জন্য অনেকেই পদত্যাগ করছেন অথবা মামলা দায়ের করছেন। ইতিমধ্যেই বিশ্বভারতীর উপাচার্যের আমলে প্রায় ১৪০টি মামলা চলছে। আদালতে মামলাগুলিতে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ কঠোরভাবে সমালোচিত হচ্ছে বলেও দাবি তোলা হয়েছে। এই সমস্ত ঘটনার জেরে বিশ্বভারতীর পড়াশোনার পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে বলেও অধ্যাপক সংগঠনের দাবি। তাই চিঠিতে জরুরি প্রতিকার মূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ জানিয়েছেন ফ্যাকাল্টি অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। চিঠির একেবারে শেষে ঐতিহ্যবাহী বিশ্বভারতী ও বিশ্বভারতীর পরিবেশ বাঁচাতে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে অপসারণেরও আবেদন জানিয়েছেন অধ্যাপক সংগঠনের সদস্যরা।
বিশ্বভারতীর অধ্যাপক সংগঠনের তরফে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দেওয়া হলেও এবিষয়ে উপাচার্য বা বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পর্যন্ত মেলেনি।