Rampurhat Medical College: ‘নিজেরাই নম্বর বাড়াতেন TMCP নেতারা’, থ্রেট কালচারের অভিযোগে সরগরম রামপুরহাট মেডিক্যাল
Rampurhat Medical College: অভিযোগ, খাতা দেখে চিকিৎসক শিক্ষক নম্বর দেওয়ার পর ট্যাবুলেশন শিটে সাদা কালি দিয়ে নম্বর মুছে টিএমসিপি নেতারা নিজেদের ইচ্ছেমতো নম্বর বসান। এই কাজে রামপুরহাট মেডিক্যালের সদ্য প্রাক্তন ডিন স্বরূপ সাহা মদত দিতেন বলে অভিযোগ।
রামপুরহাট: আরজি কর কাণ্ডে শোরগোল পড়েছে রাজ্যে। আর এরই মাঝে রাজ্যের একাধিক মেডিক্যাল কলেজে দুর্নীতি ও থ্রেট কালচারের অভিযোগ উঠছে। এসএসকেএমের জুনিয়র ডাক্তার অভীক দে এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠছে। এবার বিস্ফোরক অভিযোগ রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে। অভিযোগ, প্রাপ্ত নম্বর সাদা কালি দিয়ে মুছে নিজেরাই নম্বর বাড়িয়েছেন রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতারা। একাধিক শিক্ষক চিকিৎসক তাতে মদত দিয়েছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সব জেনেও চুপ থেকেছেন বলে অভিযোগ।
অভিযোগ, খাতা দেখে চিকিৎসক শিক্ষক নম্বর দেওয়ার পর ট্যাবুলেশন শিটে সাদা কালি দিয়ে নম্বর মুছে টিএমসিপি নেতারা নিজেদের ইচ্ছেমতো নম্বর বসান। এই কাজে সদ্য প্রাক্তন ডিন স্বরূপ সাহা মদত দিতেন বলে অভিযোগ।
রামপুরহাট মেডিক্যালের পড়ুয়া চিকিৎসক শাহবাজ শেখ অভিযোগ করেন, “স্বাস্থ্য দফতরে ঘুঘুর বাসা তৈরি হয়েছে, তার অন্যতম উদাহরণ রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ। থ্রেট কালচারের মূল বার্তাবাহক মিঠুন মজুমদার, অর্ণব বিশ্বাসরা।” মিঠুন, অর্ণবরা কলেজে টিএমসিপি নেতা। তাঁর অভীক দে ঘনিষ্ঠ বলে অভিযোগ।
এই খবরটিও পড়ুন
শাহবাজ শেখ বলেন, “৪ সেপ্টেম্বর আমরা সরব হই। তারপরই ডিন স্বরূপ সাহাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। আইওয়াশ করার জন্য এখন দু-একটা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজ কর্তৃপক্ষ এখন যদি বলে সব ব্যবস্থা নিচ্ছি, এটা ঠিক মানতে পারছি না।”
রামপুরহাট মেডিক্যালের ইন্টার্ন ওয়াসিম রাজা অভিযোগ করেন, “কিছুদিন আগে তৃতীয় বর্ষের পার্ট ১ পরীক্ষা হয়। বেশ কয়েকজন পড়ুয়ার নম্বর বাড়িয়ে দেওয়া হয়। হয়ত তাঁরা পাশই করতে পারতেন না, তাঁদের অনার্স পাইয়ে দেওয়া হয়। আবার একাধিকজনের নম্বর কমিয়েও দেওয়া হয়। আর এক ইন্টার্ন সৌম্যদীপ সরকার হাত জোড় করে বলেন, “আমাকে এক চিকিৎসক শিক্ষক কয়েকদিন আগে বলেন, ‘আমাদের তো সময় হয়ে গেল, তোরা কি করবি?’ এটা একটু সবাই ভেবে দেখুন স্যর।”
প্রিন্সিপাল করবী বড়াল সব জেনেও চুপ থেকেছেন বলে অভিযোগ। এই নিয়ে প্রিন্সিপালের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছিল। তিনি ফোন ধরেননি। হোয়াটসঅ্যাপেও বার্তার কোনও উত্তর দেননি।
রামপুরহাট মেডিক্যালের চতুর্থ বর্ষের পড়ুয়া অর্ণব বিশ্বাসের বিরুদ্ধে নম্বর বাড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, প্রিন্সিপালের ঘরে বসে নম্বর পরিবর্তন করেছেন তিনি। অভিযোগ শুনে তিনি বলেন, “এটা ভুল অভিযোগ। এটা বিচারাধীন। এই নিয়ে কিছু মন্তব্য করব না। এটা পুরোপুরি কর্তৃপক্ষের বিষয়। কোনও প্রমাণ থাকলে বলুন।” তারপরই ফোন কেটে যায় তাঁর।