Visva-Bharati University: ৭২ ঘণ্টা পরও বিশ্বভারতীতে ‘বন্দি’ রেজিস্ট্রার সহ তিনজন

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Mar 03, 2022 | 11:56 AM

Visva-Bharati University: হস্টেল খোলা নিয়ে আন্দোলনে উত্তাল বিশ্বভারতী। নিজের অফিসেই আটকে রয়েছেন রেজিস্ট্রার।

Visva-Bharati University: ৭২ ঘণ্টা পরও বিশ্বভারতীতে বন্দি রেজিস্ট্রার সহ তিনজন
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (ফাইল ছবি)

Follow Us

বোলপুর: এখনও উত্তপ্ত বিশ্বভারতী। ৭২ ঘণ্টা অতিক্রান্ত হলেও এখনও বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল অফিসে আটকে রয়েছেন বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিক, রেজিস্ট্রার ও প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার। অনলাইনে পরীক্ষা, হোস্টেল খোলা সহ একাধিক দাবিতে সোমবার সকাল থেকেই বিক্ষোভ শুরু করেছেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা। সেই বিক্ষোভ এখনও অব্যাহত। প্রথমে তাঁরা সেন্ট্রাল অফিসের ভিতরে রেজিস্ট্রারের কক্ষ ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পরে তাঁরা অফিসের বাইরে অবস্থান শুরু করেছেন। কিন্তু সেই বিক্ষোভ এখনও অব্যাহত।

ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি, অবিলম্বে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল খুলতে হবে। অনলাইনে পড়িয়ে অফলাইনে পরীক্ষা নেওয়া যাবে না, অবিলম্বে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সময়সীমা বাড়াতে হবে, এই সব দাবিতে এখন অব্দি অনড় পড়ুয়ারা। তাঁদের দাবি যতক্ষণ না পর্যন্ত ওই সব দাবি মানা হবে, ততক্ষণ তাঁরা এই বিক্ষোভ দেখিয়ে যাবেন।

যে সব আধিকারিকদের আটকে রাখা হয়েছে, তাঁদের বক্তব্য, কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ছাড়া তাঁরা এ বিষয়ে মুখ খুলবেন না। পড়ুয়াদের দাবি মানা হবে কি না, তা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে বলেই জানিয়েছেন তাঁরা।

এ দিকে, এই মুহূর্তে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী দিল্লিতে রয়েছেন বলে সূত্রের খবর। তাঁর সঙ্গে কোনও ভাবে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক জানিয়েছেন, উপাচার্য কোনও সিদ্ধান্ত নিতে বারণ করেছেন। বিভাগীয় প্রধানদের রাতভর সেন্ট্রাল লাইব্রেরিতেই থাকার কথা বলা হয়েছে। পড়ুয়ারা আন্দোলন প্রত্যাহার করলে তবেই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ আলোচনায় বসবে বলে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের।

আন্দোলনের সূত্রপাত হয় গত সোমবার। ছাত্র-ছাত্রীদের তরফ থেকেই বিশ্বভারতী অচল করার ডাক দেওয়া হয়। সোমবার বিক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা পাঠভবনে ঢুকতে গেলে নিরাপত্তারক্ষীরা প্রথমে তাঁদের বাধা দেন বলে অভিযোগ ওঠে। তা থেকেই শুরু হয় তুমুল বচসা। এরপরই পাঠভবনের গেট টপকে পড়ুয়ারা ভিতরে ঢুকে যান। তাঁদের মুখে ছিল উপাচার্যের নামে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান।

ঘটনার পরের দিন ভোরে কার্যত হামাগুড়ি দিয়ে বেরনোর চেষ্টা করেন রেজিস্ট্রার। কিন্তু পড়ুয়ারা তাঁর জামা ধরে টেনে তাঁকে আটকায় বলে অভিযোগ করেছেন আশিস আগরওয়াল।

আরও পড়ুন : Suvendu Adhikari: মমতার বিরুদ্ধে ‘নাম ভাঙানোর’ অভিযোগ! পুরভোটের ফল প্রকাশের দিনই মোদীকে চিঠি শুভেন্দুর

Next Article