Satabdi Roy: সবথেকে বেশি লিডে খেলেছে, ভোটের সেরা স্ট্রাইকারদের ‘গোল্ড মেডেল’ দিলেন শতাব্দী

TMC: শনিবার দুবরাজপুরে শাসক শিবিরের তরফে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই দুবরাজপুরের সেরা তিন 'স্ট্রাইকারকে' মেডেল দিলেন শতাব্দী রায়। একেবারে খেলার মাঠে যেমন দেওয়া হয়, সেরকম মেডেল।

Satabdi Roy: সবথেকে বেশি লিডে খেলেছে, ভোটের সেরা স্ট্রাইকারদের 'গোল্ড মেডেল' দিলেন শতাব্দী
শতাব্দী রায়Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 15, 2024 | 11:55 PM

বীরভূম: অনুব্রতহীন বীরভূমে ভোট। সেখানে থেকে জয় ধরে রাখা, যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং। সেই বীরভূমে ‘খেলা’ হল। জয়ও এল। এ যেন এক যুদ্ধ জয়ই বটে। ভোট রাজনীতির ময়দানে যাঁরা সেরা স্ট্রাইকার হিসেবে উঠে এলেন, এবার তাঁদের সম্মানিত করলেন বীরভূমের নবনির্বাচিত সাংসদ শতাব্দী রায়। শনিবার দুবরাজপুরে শাসক শিবিরের তরফে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই দুবরাজপুরের সেরা তিন ‘স্ট্রাইকারকে’ মেডেল দিলেন শতাব্দী রায়। একেবারে খেলার মাঠে যেমন দেওয়া হয়, সেরকম মেডেল। দুবরাজপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে যে তিনটি অঞ্চল সবথেকে বেশি লিড দিয়েছে এবারের ভোটে, সেই তিনটি অঞ্চলের নেতৃত্বের হাতে তুলে দেওয়া হয় এই সোনালি রঙের মেডেল।

শুধুই কি সোনালি রঙের সাধারণ মেডেল? নাকি সোনার মেডেল? বা গোল্ড প্লেটেড কোনও পদক? তা নিয়েও শুরু হয়েছে বিস্তর চর্চা। বিজেপি শিবির থেকে খোঁচা দিতে শুরু করেছে পদক বিতরণকে কেন্দ্র করে। যদিও শতাব্দী রায়কে গোল্ড মেডেল নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘দুবরাজপুর থেকেই এটা শুরু হল। কেউ ভাল কাজ করেছে, সেটার স্বীকৃতি হিসেবে এই পুরস্কার।’ বিজেপির খোঁচারও জবাব দিয়েছেন শতাব্দী। তাঁর বক্তব্য, ‘বিজেপির লোকেরা এসে দেখে যাক, এটাকে সোনা বলে নাকি গোল্ড প্লেটিং বলে। এটা কি সোনার বিস্কুট ভেঙে বানানো হয়েছে? গোল্ড প্লেটিংয়ের মেডেল দেওয়া কি কারও পক্ষে সম্ভব নয়? এই নিয়ে এত কটাক্ষ করার কী আছে!’

যদিও সোনার মেডেলের কথা মানতে চাননি তৃণমূলের জেলা কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আমার তো জানা নেই সোনার মেডেল দেওয়া হয়েছে। আমি তো জানি, মেডেল দেওয়া হয়েছে। যেমন খেলাধুলায় আমরা পাই, তেমনই। কর্মীদের উৎসাহিত করার জন্য। সেটা সোনা নাকি হীরে নাকি জহরত, সেটা আমি বলতে পারব না।’

উল্লেখ্য, এবারের ভোটে দুবরাজপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে সেরা পারফর্ম্যান্স দিয়েছে যশপুর পঞ্চায়েত এলাকা। দুবরাজপুরের মধ্যে এখান থেকেই সবথেকে বেশি লিড পেয়েছে তৃণমূল। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে লোবা পঞ্চায়েত এবং পদুমা পঞ্চায়েত এলাকা। তিন পঞ্চায়েত এলাকার নেতাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় ‘যুদ্ধজয়ের’ পদক।