বীরভূম: ভার্চুয়াল মিটিংয়ে অস্থিরতা। মিটিং চলাকালীন উপাচার্যকে গালিগালাজ করার অভিযোগ। চাঞ্চল্য ছড়াল বিশ্বভারতীতে। ইতিমধ্যেই নেট দুনিয়ায় ভাইরাল সেই অডিয়ো ক্লিপ। যদিও অডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি TV9 বাংলা।
বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে নিয়েই বিতর্কের শেষ নেই। তবে এরই মধ্যে ভার্চুয়াল মিটিংয়ে উপাচার্যকে গালিগালাজ করার অভিযোগ উঠল। কোভিড পরিস্থিতিতে উপাচার্য বিশ্বভারতীতে মিউজিক থেরাপির আয়োজন করেছেন। প্রত্যেকদিন সন্ধ্যেবেলায় বিশ্বভারতীর আধিকারিক ও কর্মীরা তাতে অংশ নেন।
কোনও অধ্য়াপক কিংবা অধ্যাপিকা নৃত্য কিংবা সঙ্গীত পরিবেশন করেন। কেউবার নাটকের কোনও একটি দৃশ্য তুলে ধরেন। গোটাটাই হয় ভার্চুয়ালি। মঙ্গলবারও সঙ্গীতভবনের তরফ থেকে মিউজিক থেরাপি অনুষ্ঠান চলছিল। ঠিক সেই সময় কোন এক ব্যক্তি অজানা অ্যাকাউন্ট সেই মিটিংয়ে ঢুকে পড়েন।
অ্যাকাউন্টটি কার, তা জানতে চাওয়া হলে উপাচার্যকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয় বলে অভিযোগ। বিড়ম্বনায় পড়েন মিটিংয়ে থাকা অন্যান্য আধিকারিক ও কর্মীরা।
এর পরেই এই ঘটনার একটি অডিয়ো ক্লিপ নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়ে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, বিশ্বভারতীর মত একটি প্রতিষ্ঠানে, কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল? প্রশ্ন উঠছে, যে ব্যক্তি এই ঘটনা ঘটিয়েছেন, তিনি অনলাইনে এই মিটিংয়ের লিঙ্ক কোথায় পেলেন? যদিও এরপরে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা গ্রহণ করে, সেটাই দেখার বিষয়। যদিও এ বিষয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তারা কোনও কথাই বলতে চাননি।
প্রসঙ্গত, বিশ্বভারতীকে নিয়ে বিতর্ক মেটার কোনও লক্ষ্মণ নেই। এর আগে আরও একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। সেখানে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী নাম না করে অনুব্রত মণ্ডলকে বাহুবলী বলে কটাক্ষ করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে।
এই নিয়ে একটি ভিডিও ভাইরাল হতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করে করে TV9 বাংলা। মূলত বিষয়টি ওঠে বিশ্বভারতী চত্বরের বিভিন্ন ভবন থেকে চুরির বিষয়টি নিয়ে। একটি ভার্চুয়াল প্রশাসনিক বৈঠকে বিশ্বভারতী চত্বরের বিভিন্ন ভবন থেকে চুরি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন উপাচার্য বিদ্যুত্ চক্রবর্তী। তাঁর বক্তব্য ছিল, এই নিয়ে নিরাপত্তা রক্ষীদের তাঁদের গাফিলতি নিয়ে প্রশ্ন তুললেই তাঁরা স্থানীয় এক বাহুবলী নেতার দ্বারস্থ হন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেছেন, নাম না করে অনুব্রত মণ্ডলকেই বিঁধেছেন উপাচার্য।
এদিকে, অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “ওঁর সাহস হয়নি আমার নাম নেওয়ার।” এই বিষয়টিকে বিশেষ আমল দেননি তিনি। এবার উপাচার্যকে গালি দেওয়ার ঘটনায় নয়া বিতর্ক তৈরি হয়েছে।