Bagtui Massacre: ‘গণহত্যার’ গ্রাম থেকে কে বাড়ির বউ নিয়ে যাবে? চিন্তায় ঘুম উড়েছে বগটুইয়ের মেয়ের মা-বাবাদের

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Mar 25, 2022 | 4:30 PM

Rampurhat: বখটুইয়ের আরবজান বিবি। বাড়িতে মা, দুই মেয়ে। সোমবার রাতে পাড়ায় যখন বাড়িতে বাড়িতে আগুন জ্বলছে, ভয়ে একটা ঘরে সিঁটিয়ে ছিলেন সকলে।

Bagtui Massacre: গণহত্যার গ্রাম থেকে কে বাড়ির বউ নিয়ে যাবে? চিন্তায় ঘুম উড়েছে বগটুইয়ের মেয়ের মা-বাবাদের
আতঙ্ক কাটছে না বগটুইয়ের মানুষগুলোর। নিজস্ব চিত্র।

Follow Us

বীরভূম: বগটুইয়ের (Bagtui Massacre) সেই ভয়াবহ রাতের কথা স্থানীয়রা কিছুতেই ভুলতে পারছেন না। চোখ বুজলেই বোমার আওয়াজ, চিৎকার, আর্তনাদ কানের সামনে ভেসে আসছে। এতগুলো জলজ্যান্ত মানুষ এভাবে জ্বলে পুড়ে খাক হয়ে গেল, ভেবেই বুকের ভিতরটা ছ্যাৎ করে উঠছে বগটুইয়ের লোকগুলোর। একইসঙ্গে আরও এক ভয় জাঁকিয়ে ধরেছে এ গ্রামের কন্যাদায়গ্রস্ত পিতাদের। গ্রামের নামে এত বড় কলঙ্ক, মেয়েকে পাত্রস্থ করা যাবে কি না এখন এ ভাবনাই আরবজান বিবিদের মনে-মাথায়। বগটুই ‘গণহত্যা’ রাতারাতি বদলে দিয়েছে এ গ্রামের যাপনচিত্র। বদল এনেছে মানুষগুলোর চিন্তাভাবনাতেও। বগটুইয়ের আরবজান বিবি। বাড়িতে মা, দুই মেয়ে। সোমবার রাতে পাড়ায় যখন বাড়িতে বাড়িতে আগুন জ্বলছে, ভয়ে একটা ঘরে সিঁটিয়ে ছিলেন সকলে। বাইরে তখন চিৎকার, আর্তনাদ, সমানে বোমাবাজি হচ্ছে। ভয়ঙ্কর সে অভিশপ্ত রাত যেন কাটছিলই না। ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই গ্রাম ছেড়ে পালিয়েও ছিলেন।

তবে কতদিন আর ভিটে মাটি ছেড়ে থাকা যায়। বাধ্য হয়েই ফিরে আসা বগটুইয়ে। তবে ভয় কাটেনি এখনও। আরবজান বলেন, “এখনও বুকের ভিতরটা থরথর করছে। কী করব, লোকের বাড়িতে কতদিনই বা থাকব। মা খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিল। ওই দেখে তো হাউমাউ করে কান্না শুরু করে মেয়েরা। আমি দরজা বন্ধ করে সবাইকে চেপে ধরে বসেছিলাম।”

আরবজান বিবি জানান, “পাঁচদিন কেটে গেলেও এখনও ভয় করছে। একা বাথরুমে যাওয়া বা বাইরে যাওয়া যাচ্ছে না। তবে এখন সবথেকে বেশি ভাবছি মেয়ে দু’টোকে নিয়ে। ওরা এখন পড়াশোনা করছে। এ গ্রামের যা বদনাম হল। মেয়েদের বিয়ে দেওয়া মুশকিল হবে। লোকে তো বলবে, ‘ওইখানকার মেয়ে’। বগটুই পূর্ব পাড়ার মেয়ে শুনে কতজন আর বিয়ে করতে এগিয়ে আসবে কে জানে! লোকে হয়ত বলবে, ওরে বাবা ও মেয়ে বগটুইয়ের?”

বগটুইয়ের ছবিটা এখন ভয়ঙ্কর। সে গ্রামে দিনভর বুটের শব্দ। পুলিশি প্রহরা চলছে। গ্রামে বসেছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। শুক্রবার তদন্তভার পেল সিবিআই। শনিবার থেকে তাদেরও গ্রামে যাতায়াত বাড়বে। স্থানীয়রা বলছেন, গ্রামটাই বদলে গিয়েছে। গরু ছাগল কিনতেও লোক আসছেন না গ্রামে। ফোনে খোঁজ নিচ্ছে না আত্মীয়রাও। বগটুই নাম শুনলেই বক্রদৃষ্টি দিচ্ছেন সংলগ্ন গ্রামের লোকজন। বগটুইয়ের মানুষের এখন একটাই চিন্তা, এ বদনাম কবে ঘুচবে, কবে আবার সবকিছু আগের মতো হবে। এ এক সামাজিক সঙ্কটের মুখে বগটুইয়ের মানুষগুলো।

আরও পড়ুন: Bagtui Massacre: কারা মারতে পারে, এসডিপিওকে নিজেই চিঠিতে লিখেছিলেন ভাদু শেখ, চেয়েছিলেন পুলিশি নিরাপত্তাও

আরও পড়ুন: Kunal Ghosh on Anubrata Mondal: ‘বড় নেতা, বেশি বোঝেন’, অনুব্রত-র নাম শুনে কি চটে গেলেন কুণাল?

আরও পড়ুন: TMC on CBI investigation: ‘ছেড়ে কথা বলব না’, সিবিআই তদন্তের নির্দেশের পর প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের

Next Article