Student Sick: একের পর এক ছাত্রী জ্ঞান হারাচ্ছে, রাস্তায় পড়ে কেউ বা ছটফট করছে, অবাক করা কাণ্ড লাভপুরে

Birbhum News: এমন ঘটনায় কার্যত হতবাক অভিভাবকরা। চিকিৎসকরাও স্পষ্ট নন, কেন এই ঘটনা ঘটল।

Student Sick: একের পর এক ছাত্রী জ্ঞান হারাচ্ছে, রাস্তায় পড়ে কেউ বা ছটফট করছে, অবাক করা কাণ্ড লাভপুরে
হাসপাতালে এক ছাত্রীর মা।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 16, 2022 | 7:45 PM

বীরভূম: ক্লাস চলছিল শুক্রবার। এরই মাঝে আচমকা পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম শ্রেণির একাধিক পড়ুয়া অসুস্থ হয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। অনেকে অজ্ঞানও হয়ে পড়ে। কারও আবার বাড়ি ফিরতেই মাথা ঘোরা, হাত পা জ্বালা, চোখে অস্বস্তি। নিয়ে যাওয়া হয় সাঁইথিয়া লাভপুর হাসপাতালে। এমন ঘটনায় কার্যত হতবাক অভিভাবকরা। চিকিৎসকরাও স্পষ্ট নন, কেন এই ঘটনা ঘটল। লাভপুরে হাতিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের এই ঘটনা ঘিরে শুক্রবার হইহই পড়ে যায় এলাকায়। যদিও এ নিয়ে স্কুলের কোনও বক্তব্য এখনও পাওয়া যায়নি।

এদিন স্কুলের ২০ থেকে ২৫ জন পড়ুয়া অচৈতন্য হয়ে পড়ে বলে খবর। যদিও কারও কারও দাবি, সংখ্যাটা ৫০ পার করেছে। লাভপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাদের। বহু পড়ুয়াকে ভর্তিও নেওয়া হয় হাসপাতালে। স্কুল সূত্রে খবর, অন্যান্য দিনের মতো এদিনও স্বাভাবিকভাবেই স্কুলে পঠনপাঠন চলছিল। স্কুলের প্রার্থনা হওয়ার পরই ষষ্ঠ শ্রেণির কয়েকজন ছাত্রী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। জ্ঞান হারায় কয়েকজন। হঠাৎই খবর আসে, পঞ্চম ও সপ্তম শ্রেণিকক্ষেও একই ছবি।

লাভপুর ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক (বিএমওএইচ) তহসিন মাকসুদ জানান, “দুপুর থেকে বিকেল অবধি প্রায় ১৫ জন আমাদের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। যখন আসে একেবারে নেতিয়ে পড়েছিল প্রত্যেকে। প্রাথমিক চিকিৎসা করে কয়েকজনকে স্থিতিশীল করা হয়েছে। পরবর্তী রিপোর্ট না এলে আমরা কিছুই বলতে পারছি না। আপাতত স্থিতিশীল হলেও আমরা প্রতি ঘণ্টায় এসে ওদের দেখে যাচ্ছি।”

অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর কথায়, “প্রেয়ার লাইনে কয়েকজনের শরীর খারাপ হয়ে যায়। একজন অজ্ঞান হয়ে যায়। স্যররা এসে জল ঢালতে শুরু করেন। এরপর সবাই ক্লাসে চলে যাই। সেখানে গিয়ে ১০-১৫ জন অসুস্থ হয়ে পড়ে। ওদের হাসপাতালে আনতে আনতে আমরাও অসুস্থ হয়ে পড়ি। কেন যে অজ্ঞান হলাম এতজন বুঝতেই পারলাম না।”

শেখ আমিরুল নামে এক ব্যক্তি বলেন, “আমার মেয়ে স্কুলে গিয়েছিল। হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়ে। রাস্তায় পড়ে যায়। মুরগি যেন ছটফট করে ও তেমনই ছটফট করছিল। ১০-২০ জন বাচ্চার এরকম হয়েছে। হাসপাতালে আনার পর স্যালাইন দিল, রক্তপরীক্ষা করেছে। কেন এটা হল জানি না। আমি ওদের জিজ্ঞাসা করলাম, কোনও খাবার খায়নি বলল।”