SSC Case: ‘কিছু শিক্ষক আমার কাছে কান্নাকাটি করছিলেন’, পরিস্থিতি বোঝালেন ব্রাত্য
Bratya Basu: মোট ২৫ হাজারেও বেশি নিয়োগপত্র বাতিল হয়ে গিয়েছে হাইকোর্টের রায়ে। চাকরি হারাতে বসেছেন বহু শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও জানালেন, 'কিছু শিক্ষক আমার কাছে কান্নাকাটি করছিলেন। তাঁরা বলছিলেন, তাঁরা যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও কীভাবে সরানো হল!'
বীরভূম: এসএসসি মামলায় হাইকোর্টে জোর ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য। এসএসসির গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ মিলিয়ে মোট ২৫ হাজারেও বেশি নিয়োগপত্র বাতিল হয়ে গিয়েছে হাইকোর্টের রায়ে। চাকরি হারাতে বসেছেন বহু শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও জানালেন, ‘কিছু শিক্ষক আমার কাছে কান্নাকাটি করছিলেন। তাঁরা বলছিলেন, তাঁরা যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও কীভাবে সরানো হল!’ উল্লেখ্য, এসএসসি নিয়োগ মামলায় হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ইতিমধ্য়েই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়েছে। আগামিকাল (সোমবার) সেই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে শীর্ষ আদালতে। তার আগে আজ বীরভূম থেকে কাজ হারাতে বসা ‘যোগ্য’ চাকরিপ্রাপকদের মানসিক অবস্থার কথা শোনালেন শিক্ষামন্ত্রী।
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ সাব্বির রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ গত সোমবারই এসএসএসি মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেছে। ১৭ রকমভাবে বেনিয়মের কথা উঠে এসেছে সেখানে। ২০১৬ সালের গোটা প্যানেলই বাতিল হয়ে গিয়েছে। কে যোগ্য, কে অযোগ্য তা আলাদা করা যায়নি। বাতিল হয়ে গিয়েছে ২৫ হাজারেও বেশি নিয়োগপত্র। আদালতের রায়ের পরই একাংশের চাকরিহারারা নিজেদের ‘যোগ্য’ চাকরিপ্রাপক বলে রাস্তায় নেমেছে। মধ্য শিক্ষা পর্ষদের অফিসে গিয়ে পর্ষদ সভাপতির সঙ্গে দেখা করেছেন ‘ন্যায্য’ চাকরিপ্রাপকদের একাংশ।
আজ বীরভূমে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আবারও ব্রাত্যর মুখে ‘সুপ্রিম’ দুয়ারে আইনি লড়াইয়ের প্রসঙ্গ। তবে একইসঙ্গে বিরোধীদের উদ্দেশেও কড়া মন্তব্য করলেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘চাকরি যাওয়ার পর রাম-বামের উল্লাসের দিকেও মানুষকে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বলব।’