বালুরঘাট: বাস বিহারের কিষাণগঞ্জ হয়ে শিলিগুড়ি যেতে গেলেই হাজার হাজার টাকা জরিমানা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বাস মালিকরা রবিবার দেখা করলেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে।
বাস মালিকদের বক্তব্য, বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে হাজার, হাজার টাকা জরিমানা করা হচ্ছে দুই দিনাজপুরের বাস মালিকদের। বাস চালাতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে বিহার সরকারের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধান করা হোক। তা না হলে আগামীতে বাস ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হবেন।
বালুরঘাট বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অমিতাভ ঘোষের কথায়, “কিষাণগঞ্জের উপর দিয়ে গাড়ি নিয়ে যেতে গেলে টোল ট্যাক্স নিয়ে যে সমস্যা হচ্ছে, আমাদের ফাইন পর্যন্ত করা হচ্ছে। আমরা সাংসদকে বিষয়টা জানালাম।”
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট, গঙ্গারামপুর এবং উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ ও কালিয়াগঞ্জের বহু বাস শিলিগুড়িতে যাতাযাত করে। এই রুটের প্রায় ২০০-এর বেশি বাস রয়েছে। এই রুটে বাসগুলিকে জাতীয় সড়কের উপরে কিষাণগঞ্জ ধরে প্রায় ৬ কিলোমিটার যেতে হয়। অন্যদিকে, বেঙ্গল টু বেঙ্গল রুট দিয়ে যাওয়াও সমস্যা রয়েছে।
অন্যদিকে উত্তর দিনাজপুর বাস মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক প্লাবন প্রামাণিক বলেন, “আমাদের বাসগুলি বাইপাস দিয়েও যেতে দেয় না। এমনকি যাত্রী ওঠানামা করলেই জরিমানা করছে। এই জরিমানার পরিমাণ কখনও কখনও ১০ হাজার টাকা থেকে ৮০ হাজার টাকা হচ্ছে। আমরা এ নিয়ে খুব বিরক্ত। আগে প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি এই ব্যাপারে সহযোগিতা করেছিলেন। আমরা এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের দ্বারস্থ হয়েছি।”
সাংসদ সুকান্ত মজুমদার জানান, কিষাণগঞ্জ মিউনিসিপালিটির সঙ্গে বহু দিন ধরেই একটি চুক্তি চলে। তখন প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সী সংসদীয় মন্ত্রী ছিলেন। তাঁর মধ্যস্থতায় এই চুক্তি সম্পাদিত হয়েছিল। বাস প্রতি বা ভেহিক্যাল প্রতি ১৪০ টাকা করে কিষাণগঞ্জ পুরসভাকে দেন মালিকরা। এখন অভিযোগ, বিহার সরকারের ডিটিও (বাংলায় যা আরটিও) থেকে বাস ধরে মাঝরাস্তায় ফাইন করা হচ্ছে বলছেন।
সুকান্ত মজুমদার বলেন, “বাসের মালিকদের বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা এসেছিলেন। তাঁদের অভিযোগ শিলিগুড়িতে কিষাণগঞ্জ হয়ে যাওয়ার সময় ফাইন করা হচ্ছে। ৮০ হাজার পর্যন্ত সেই জরিমানা গিয়েছে বলছেন ওনারা। ফলে খুবই চাপে, বাস চালাতে পারছেন না। আমাকে জানিয়েছেন। রাজনৈতিক স্তরে আমাদের পার্টির যাঁরা বিহারে আছেন তাঁদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।”