রামপুরহাট: সিবিআই হেফাজতে লালন শেখের মৃত্যুর ঘটনার তদন্তভার আগেই নিয়েছিল রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা, সিআইডি। এবার ঘটনার তদন্তে সিবিআই-কে চিঠি দিল সিআইডি। রবিবারই লালন শেখের মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই-কে চিঠি পাঠাল সিআইডি। লালন শেখের মৃত্যু কী ভাবে হল, সিবিআই হেফাজতে লালন শেখের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা কী ছিল, সে বিষয়ে চিঠিতে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
অন্যদিকে, এদিন ফের বগটুই গ্রামে মৃত লালন শেখের শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছল CID-র পাঁচ সদস্যের দল। যার মধ্যে রয়েছে ৪ আধিকারিক ও ১ জন ফটোগ্রাফার। এদিনও তাঁরা লালন শেখের পরিবার ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলছেন।
লালন শেখের মৃত্যুর ঘটনায় এর আগেও রামপুরহাটে অস্থায়ী সিবিআই ক্যাম্পে গিয়েছিলেন রাজ্য সিআইডি-র আইজি সুনীল কুমার চৌধুরী। এই ক্যাম্পের ভিতরেই লালনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন সিআইডি আধিকারিক। কেন্দ্রীয় গোয়োন্দা সংস্থার বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু হয়েছে। লালন শেখকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি তাঁর স্ত্রীর। যদিও সিবিআই-কে রক্ষাকবচ দিয়েছে আদালত। সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে সিআইডি কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না বলে আদালতের তরফে জানানো হয়েছে। তবে কড়া পদক্ষেপ না করলেও তদন্ত প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যেতে এবং লালনের মৃত্যু-রহস্য উদ্ঘাটন করতে তৎপর রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা।
প্রসঙ্গত, গত ১২ ডিসেম্বর সিবিআই হেফাজতে থাককালীন মৃত্যু হয় বগটুই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখ। রামপুরহাটে অস্থায়ী সিবিআই ক্যাম্পের ভিতর থেকে লালন শেখের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। লালন আত্মহত্যা করেছেন বলে সিবিআইয়ের তরফে দাবি জানানো হয়। যদিও লালন শেখকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তাঁর স্ত্রী। মামলা গড়ায় আদালত পর্যন্ত। তারপর আদালতের নির্দেশেই লালন শেখের মৃত্যুর তদন্তভার গ্রহণ করে সিআইডি।