সিজার মণ্ডল ও কনিষ্ক মাইতি
এগরা: এগরাকাণ্ডে খোঁজ মিলল মূল অভিযুক্ত ভানু বাগের।সিআইডি ওড়িশার কটকের একটি হাসপাতালের খোঁজ পেয়েছেন। যেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় রয়েছেন ভানু। বিস্ফোরণের জেরে ভানুর শরীরের প্রায় ৭০ শতাংশের বেশি পুড়ে গিয়েছে। সেই কারণে এখনই তাঁকে গ্রেফতার করা সম্ভব নয়। তবে আটক করা হয়েছে ভানুর ছেলে পৃথ্বীজিৎ এবং ভাইপো ইন্দ্রজিৎ-কে। কিছুক্ষণের মধ্যে তাঁদের গ্রেফতার করা হবে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বিস্ফোরণের দিন ভানুর শরীরেও আঘাত লাগে। তবে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তিনি এবং তাঁর স্ত্রী চম্পট দেন এলাকা থেকে। গ্রামবাসীদের দাবি, বাইকে করে ওড়িশা পালিয়েছেন তিনি। বাইকের মাঝখানে বসেছিলেন ভানু। পিছনে আর একজন বাতাস করতে-করতে সাহারা গ্রাম থেকে ওড়িশার দিকের রাস্তা থেকে পালিয়ে গিয়েছেন। এক এলাকাবাসী বলেন, “আমি দেখেছি পালিয়ে যেতে। ওর শরীর পুড়ে গিয়েছে। মোটরবাইকে চারজন ছিল। একজন মহিলাও ছিলেন।” এরপর গতকাল রাজ্য পুলিশও গোপনে ওড়িশা রওনা দেয়।
সূত্রের খবর, বিস্ফোরণে ৭০ শতাংশের বেশি পুড়ে যাওয়ার ফলে কটকের একটি হাসপাতালে গোপনে ভর্তি হন ভানু। তবে ওড়িশা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে সেই হাসপাতালের খোঁজ পায় রাজ্য পুলিশ ও সিআইডি। রাজ্য গোয়েন্দা দফতর সূত্রে খবর, বর্তমানে ভানু বাগের অবস্থা আশঙ্কাজনক। যেহেতু তাঁর শরীরের অর্ধেক অংশ পুড়ে গিয়েছে সেই কারণে এখনই তাঁকে স্থানান্তরিত করা সম্ভব নয়। কারণ প্রাথমিকভাবে সিআইডি আধিকারিকরা মনে করেছিলেন তাঁকে কলকাতায় এনে কোনও হাসপাতালে ভর্তি করতে। তবে কটকের হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন ভানুর অবস্থা এতটাই আশঙ্কাজনক যে তাঁকে কোনও ভাবেই অন্য় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সমীচিন নয়। সেই কারণেই ওড়িশা পুলিশের সাহায্য চেয়েছে রাজ্যপুলিশ। ভানু যাতে কোনও ভাবেই হাসপাতাল থেকে পালাতে না পারে সেই বিষয় যেন ওড়িশা পুলিশ দেখে। কার্যত হাসপাতালেই আটক রয়েছেন ভানু।