অশোকনগর: যাত্রীদের অভিযোগ ছিল দীর্ঘদিনের। আর শুক্রবার সকালে থেকে শুরু হয় বিক্ষোভ। থামিয়ে দেওয়া হয় আপ ও ডাউন লাইনের দুটি ট্রেন। আর তার জেরেই স্তব্ধ হয়ে যায় রেল পরিষেবা। দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকে বনগাঁ লাইনের ট্রেন চলাচল। আর সেই বিক্ষোভ পুলিশ তুলতে গেলে, ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় অশোকনগর স্টেশনে। যাত্রীদের দাবি, মাঝেরহাট স্টেশন পর্যন্ত যাওয়ার কথা থাকলেও বেশিরভাগ সময়ই ট্রেন যায় না। অন্যান্য স্টেশনে নামিয়ে দেয় যাত্রীদের।
হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে যখন বিক্ষোভ চলছিল, তখন রেল গেট পড়ে যাওয়ায় অবরুদ্ধ হয়ে যায় যশোর রোডও। অফিস টাইমে নিত্যযাত্রীরা আটকে পড়েন রেলপথে ও রাস্তাতেও। পুলিশ ও আরপিএফ ঘটনাস্থলে যায় বিক্ষোভ তুলতে। এরপরই তৈরি হয় ধুন্ধুমার পরিস্থিতি।
রীতিমতো লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাল্টা ইট ও পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। মুখ ফেটে যায় সাব ইন্সপেক্টরের। রক্তাক্ত অবস্থায় হেলমেট খুঁজতে দেখা যায় তাঁকে। একাধিক যাত্রীকে লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়। ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় রেল স্টেশনে। একাধিক যাত্রীকে আটকও করা হয় স্টেশন থেকে।
২-৩ ঘণ্টা পর উঠে যায় অবরোধ। স্বাভাবিক হয় ট্রেন চলাচল। তবে আদতে কোনও সুরাহা হল কি না, সেই প্রশ্ন তুলছেন অবরোধকারীরা।