Tiger in Kaziranga forest: ৮ বছর পরে কাজিরাঙার জঙ্গলে দেখা দিল সোনালী ডোরাকাটা

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Jan 06, 2022 | 12:01 AM

Coochbehar: পর্যটকদের ক্যামেরায় ধরা পড়ে বাঘটির ছবি।

Tiger in Kaziranga forest: ৮ বছর পরে কাজিরাঙার জঙ্গলে দেখা দিল সোনালী ডোরাকাটা
কাজিরাঙায় দর্শন মিলল সোনালী বাঘের (নিজস্ব ছবি)

Follow Us

গুয়াহাটি: বারবার বাঘের হানায় বনকর্মীদের যখন কালঘাম ছুটছে দক্ষিণে! তখন এবার পাশের রাজ্য অসমের কাজিরাঙায় দেখা মিলল সোনালী ডোরাকাটার। কাজিরাঙা (kazidanga forest) অরণ্যে সম্ভবত মঙ্গলবার ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায় রয়্যাল বেঙ্গল বাঘটিকে।

এর আগে ২০১৪ সালে দেখা মিলেছিল ‘বাঘমামার’। তারপর আর তাকে দেখতে পাওয়া যায়নি। নতুন বছরের শুরুতে ফের একবার দেখা গেল তাকে। জঙ্গলে সোনালী বাঘের ঘুরে বেড়ানো দেখে রীতিমত উচ্ছ্বসিত সকলেই। পাশাপাশি উচ্ছ্বসিত হয়েছেন বনকর্মীরাও।

জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে কয়েকজন ফটোগ্রাফারের ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল সোনালী বাঘের ছবি। এরপর আবার কাজিরাঙায় পর্যটক গাইড এবং ফটোগ্রাফাররের ক্যামেরায় ধরা পড়ে সেই ছবি। কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের গবেষক রবিন শর্মার মতে, বর্তমানে জঙ্গলে ৪ সোনার বাঘ রয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ১১ ডিসেম্বর বক্সার (Buxar Forest) জঙ্গলে দেখা মিলেছিল বাঘের। ট্র্যাপ ক্যামেরায় দেখা মিলেছিল সেই বাঘের ছবি। জল খেতে দেখা যায় বাঘটিকে। বলাই চলে বাঘের জন্য সুদিন আমাদের রাজ্যে।

বন দফতর সূত্রে খবর, দীর্ঘ প্রায় তেইশ বছর পরে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের দেখা মিলল বক্সার জঙ্গলে। সেই ছবি ক্যামেরা বন্দী হয়েছে। এটা পরিবেশ প্রেমীদের কাছে অত্যন্ত আনন্দের খবর। একদিকে, যখন বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প নিয়ে বারবার আলোচনা হচ্ছিল। আদৌ এই জঙ্গলে বাঘ আছে কিনা?থাকলেও দেখা যাচ্ছে না কেন? তখন দাঁড়িয়ে সেই ছবি প্রমাণ করে দিল যে বাঘেরর অস্তিত্ব রয়েছে। এরপর আরও বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে জানা যাবে।

এই বিষয়ে বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “রাজ্যের কাছে খুশির খবর। কিছুদিন আগেই সুন্দরবনে ব্যাঘ্র সুমারি শুরু হয়ে গিয়েছে। অনেকেই আমাদের বলেছিল যে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার পাওয়া যাচ্ছে না। বক্সা বাঘ শূন্য হয়ে গিয়েছে। ১৯৯৮ পর ফের দর্শন মিলল রয়্যাল বেঙ্গলের। বক্সার বড় সমস্যা হল এর পূর্ব এবং পশ্চিমে রেঞ্জ রয়েছে। ১৯৩৮ এ কয়েকজন মানুষকে নিয়ে আসা হয় কাজ করার জন্য। পরবর্তীকালে তারা ফিরে না গিয়ে এখানেই বসবাস করে। তাই ব্যক্তিগত ভাবে আমার মনে হয়েছে বাঘের সঙ্গে ওদের সমস্যা হতে পারে। তাই জঙ্গলের ওই চারটি গ্রামের পরিবারকে আমরা সরাতে চাইছি। তাদের অনুমতি নিয়েই আমরা তাদের সরাব। তাহলে হয়ত আরও বাঘের দেখা মিলবে। ”

আরও পড়ুন: Photo Gallery: করোনা কাঁটায় দিঘা সৈকত যেন মরুভূমি! ঘোর অনিশ্চয়তায় পর্যটন শিল্প

Next Article