Cooch Behar: প্রকৃত ভোটার কে? SIR শুরু হতেই একই এপিক নম্বরের দুটি ভোটার কার্ড ঘিরে শোরগোল কোচবিহারে
Same EPIC number: আনিসুর রহমান বলেন, "মেহেবুব আলম নামে ওই ব্যক্তি বছর দশেক আগে বাংলাদেশ থেকে এখানে এসেছেন। এখানে বিয়ে করেছেন। ওঁর বাবা এখানে নেই। কারচুপি করে ভোটার কার্ড করেছেন। এখন ফর্ম তো বাংলাদেশের ছেলেটা পাবে। এটা তো চিন্তার।"

কোচবিহার: দু’জনের নাম এক। ভোটার কার্ডের এপিক নম্বরও এক। তবে বাবার নাম আলাদা। কিন্তু, একই এপিক নম্বরের দুটি ভোটার কার্ড কীভাবে সম্ভব? এসআইআরের আবহে এই নিয়ে বুধবার উত্তেজনা ছড়াল কোচবিহারের শীতলকুচিতে। দু’জনের মধ্যে একজন বাংলাদেশ থেকে এসে এখানে বসবাস শুরু করেছেন বলে অভিযোগ। তাঁকে এদিন মারধরও করা হয়। পরে পুলিশ এসে ওই ব্যক্তিকে থানায় নিয়ে যায়।
শীতলকুচি ব্লকের ছোট শালবাড়ি অঞ্চলের বড় গদাইখোঁড়া এলাকায় দুই ভোটারের নাম মেহেবুব আলম। একজনের বয়স বছর পঞ্চাশ। অন্যজনের বয়স বছর ছাব্বিশ। এই দুই ভোটারের ভোটার কার্ডের এপিক নম্বর একই। তবে বছর ছাব্বিশের মেহেবুবের বাবার নাম আনিসুর রহমান। আর বছর পঞ্চাশের মেহেবুবের বাবার নাম মহম্মদ হোসেন আলি মিঞা।
আনিসুর রহমান বলেন, রাজ্যে বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) প্রক্রিয়া মঙ্গলবার শুরু হওয়ার পর তাঁরা ভোটার তালিকা খতিয়ে দেখছিলেন। সেইসময়ই দেখেন, তাঁর ছেলের নাম বর্তমান ভোটার তালিকায় নেই। তাঁর জায়গায় একজন মেহেবুব আলমের নাম রয়েছে। যাঁর বাবার নাম মহম্মদ হোসেন আলি মিঞা। কিন্তু, ওই ব্যক্তি ও তাঁর ছেলের ভোটার কার্ডের এপিক নম্বর একই। আনিসুর রহমান বলেন, “মেহেবুব আলম নামে ওই ব্যক্তি বছর দশেক আগে বাংলাদেশ থেকে এখানে এসেছেন। এখানে বিয়ে করেছেন। ওঁর বাবা এখানে নেই। কারচুপি করে ভোটার কার্ড করেছেন। এখন ফর্ম তো বাংলাদেশের ছেলেটা পাবে। এটা তো চিন্তার।”
বছর পঞ্চাশের মেহেবুব আলম অবশ্য স্বীকার করলেন, তিনি বাংলাদেশ থেকে এসেছেন। তাও বছর চল্লিশেক আগে এসেছেন বলে দাবি করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে মারধর করেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। আনিসুর রহমানও ওই ব্যক্তিকে মারধরের কথা স্বীকার করেছেন। দু-চারটে চড় থাপ্পড় মারা হয়েছে বলে স্বীকার করেন তিনি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এদিন এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে শীতলকুচি থানার পুলিশ। বাংলাদেশি হিসেবে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, গোটা ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।
