Cooch Behar TMC Clash: ‘ভগবান অন্যায় করেছেন, এত লম্বা বানিয়েছেন ওঁকে, যে বুদ্ধিটা ঘাড়েই আটকে গিয়েছে’

TV9 Bangla Digital | Edited By: tista roychowdhury

Dec 27, 2021 | 3:13 PM

Cooch Behar: আর রবীন্দ্রনাথের এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল। আগেও, নাম না করে নাটাবাড়ির প্রাক্তন বিধায়ক রবীন্দ্রনাথকে কটাক্ষ করেছেন উদয়ন। পাল্টা দিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ। বার বার দলের কোন্দল এভাবে প্রকাশ্যে চলে আসায় বেশ অস্বস্তিতে জোড়াফুল শিবির।

Cooch Behar TMC Clash: ভগবান অন্যায় করেছেন, এত লম্বা বানিয়েছেন ওঁকে, যে বুদ্ধিটা ঘাড়েই আটকে গিয়েছে
ফের বিতর্কে উদয়ন-রবীন্দ্রনাথ, নিজস্ব চিত্র

Follow Us

কোচবিহার: নেত্রী বারবার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন গোষ্ঠীকোন্দল কাম্য নয়। কোনওভাবেই, দলের মধ্যে যেন বিরোধ না জন্মায়। নিজেদের মধ্যে কোনওপ্রকার ক্ষোভ-বিক্ষোভ থাকলে তা মিটিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। কিন্তু নির্দেশ দিলেও তা মানা  হচ্ছে কই? অন্তত, কোচবিহারের সাম্প্রতিক ছবি তো তা বলে না।  ফের একবার, দলীয় সভামঞ্চেই দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহকে নাম না করে আক্রমণ করলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। পাল্টা কটাক্ষ হানলেন উদয়নও।

উদয়ন এদিন বলেন, “আসলে, ওঁর ( রবীন্দ্রনাথ ঘোষ) কোনও রুচিবোধ নেই। কোথায় কী কথা বলতে হয় তা জানেন না। যখন যা মুখে আসে তাই বলতে থাকেন। ভগবান অন্যায় করেছেন, ওঁকে এত লম্বা বানিয়ে…এত লম্বা হয়ে গিয়েছেন যে বুদ্ধিটা ওঁর কেবল ঘাড় অবধি পৌঁছেছে। মাথায় আর যায়নি।”

সভামঞ্চে ঠিক কী বলেছিলেন রবীন্দ্রনাথ? দলীয় জনসভাতেই নাম না করে দলেরই তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন রবীন্দ্রনাথ। বলেন, “তালগাছ সব সময় মাথা উঁচু করে থাকে। তালগাছ কখনও মাথা নিচু করে না। আর ওই দিনহাটার নেতা ঝুলি থেকে বিড়াল যদি বের করি, তাহলে মুখ লুকানোর জায়গা থাকবে না। তোমার সব ইতিহাস মুখস্থ আছে। কোচবিহারের কৃষক রাজ্যের কৃষকরা জানেন তোমার আসল চেহারা।”

আর রবীন্দ্রনাথের এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল। আগেও, নাম না করে নাটাবাড়ির প্রাক্তন বিধায়ক রবীন্দ্রনাথকে কটাক্ষ করেছেন উদয়ন। পাল্টা দিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ। বার বার দলের কোন্দল এভাবে প্রকাশ্যে চলে আসায় বেশ অস্বস্তিতে জোড়াফুল শিবির। জেলা নেতৃত্বের এভাবে পরস্পরের প্রতি ‘বিরূবৃপ মনোভাব’-কে কেন্দ্র করে দলের অন্দরেও যথেষ্ট ক্ষোভ রয়েছে।  বিধানসভা নির্বাচনের আগেও একাধিকবার এই ঘরোয়া কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছিল। খোদ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুঁশিয়ারিতেও এই বিরোধের নিষ্পত্তি হয়নি।

গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের শিকড় কত গভীরে তার প্রমাণ মিলেছে সম্প্রতি কোচবিহারের দিনহাটা কেন্দ্রের উপনির্বাচনেও। নিজের কেন্দ্রেই গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে ভোটে ব্রাত্য ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। ভোটের দিন সময় কাটান টিভি দেখেই। কিছুদিন আগে তিনি ফেসবুকে লিখেছিলেন, “জীবনে সঠিক কাজ করলেও মিলতে পারে অপমান ও অবহেলা , তাতে খারাপ লাগে ….।”

কান পাতলে শোনা যায় গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই বিরোধী পক্ষের নেতাদের সুপারিশে কোচবিহারে ভোটের সময় তাঁকে শান্তিপুরের নির্বাচনে পাঠিয়ে কার্যত দূরে সরিয়ে রাখেন সর্বোচ্চ নেতৃত্ব। এর আগে বিধানসভা হোক বা লোকসভা, ভোটের সময় কোচবিহারের নতুন পল্লিতে রবীন্দ্রনাথ ঘোষের বাড়ি ছিল শাসকদলের ভরকেন্দ্র। এখান থেকেই দলীয় কর্মীদের কাছে নানান নির্দেশ যেত। জেলার যে কোনও প্রান্তে নির্বাচনে দলীয় কর্মীদের ভূমিকা ঠিক করতে প্রতি মুহূর্তে এই বাড়িতে ফোন আসত। কিন্তু, উপনির্বাচনে দেখা যায় সম্পূর্ণ অন্য ছবি। এ বার ফের প্রকাশ্যে দুই নেতার যুযুধান বিভেদ সামনে আসতে জল কোনদিকে গড়ায় সেদিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।

আরও পড়ুন: Lokayukta: লোকায়ুক্ত নিয়োগ নিয়ে জোর তরজা, রাজ্যপালকে আলাদা নাম পাঠাচ্ছেন শুভেন্দু

Next Article