Lokayukta: লোকায়ুক্ত নিয়োগ নিয়ে জোর তরজা, রাজ্যপালকে আলাদা নাম পাঠাচ্ছেন শুভেন্দু
Assembly: সোমবার বিধানসভায় মূলত লোকায়ুক্ত ও মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য নিয়োগ নিয়ে বৈঠক ছিল।
কলকাতা: রাজ্যের লোকায়ুক্ত হিসাবে প্রাক্তন বিচারপতি অসীম রায়ের নাম মনোনীত করেছে বিধানসভার সিলেকশন কমিটি। একইসঙ্গে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান পদে জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য এবং এই কমিটির সদস্য হিসাবে শিবকান্ত প্রসাদের নামেও চূড়ান্ত মনোনয়ন দিয়েছে কমিটি। এই নাম এবার পাঠানো হবে রাজ্যপালের কাছে।
যদিও বিধানসভায় অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, সিলেকশন কমিটি যে নাম চূড়ান্ত করে পাঠাবে তাতেই সম্মতি জানানোর নিয়ম। সংবিধানে সেটাই বলা আছে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের যে নিয়ম সেটাই আমরা মেনে চলি।”
প্রসঙ্গত, এই সিলেকশন কমিটির সদস্য হলেন, মুখ্যমন্ত্রী, বিধানসভার অধ্যক্ষ এবং বিরোধী দলনেতা ও পরিষদীয় মন্ত্রী। কিন্তু এদিনের বৈঠকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী উপস্থিত ছিলেন না। বিধানসভা সূত্রে খবর, গত ২২ ডিসেম্বর মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী মনোনীত সদস্য নিয়ে কার নাম ভাবনাচিন্তায় রয়েছে তা জানতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সরকার না জানানোয় তিনি আসেননি বলেই শুভেন্দুর দাবি।
তিনি জানিয়েছেন, আলাদা করে তিনি এ ক্ষেত্রে নাম প্রস্তাব করবেন এবং তা রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে পাঠাবেন। কারণ, শুভেন্দুর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী, অধ্যক্ষ যেমন নিজেদের মতো করে নাম প্রস্তাব করতে পারেন। তেমনই বিরোধী দলনেতারও সে অধিকার রয়েছে। একইসঙ্গে বার বারই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, এ ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত রাজ্যপালই নেবেন।
Would petition Hon’ble Governor @jdhankhar1 ji, who is appointing authority and custodian of Constitution and law.@egiye_bangla pic.twitter.com/IDnoHphI2t
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) December 27, 2021
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) December 27, 2021
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আমি আমার অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছি। রাজ্যপালই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। রাজ্যপাল মহোদয় মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী পরামর্শ নেবেন এবং লোকায়ুক্তের ক্ষেত্রে অধ্যক্ষ, পরিষদীয় মন্ত্রী, বিরোধী দলনেতার সঙ্গে পরামর্শ করবেন। মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান এবং সদস্যর ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভার অধ্যক্ষ এবং বিরোধী দলনেতার সঙ্গে পরামর্শ করে রাজ্যপাল সিদ্ধান্ত নেবেন। তা উনি (মুখ্যমন্ত্রী) প্রস্তাব করেছেন অধ্যক্ষের সঙ্গে বসে, আমি আমার আলাদা প্রস্তাব পাঠাব।”
সোমবার বিধানসভায় মূলত লোকায়ুক্ত ও মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য নিয়োগ নিয়ে বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে বিরোধী দলনেতার অনুপস্থিতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি আগে এরকম কোনওদিনও দেখিনি। এতদিন ধরে রয়েছি। বিরোধী দলনেতা উপস্থিত থেকেছেন। সূর্যকান্ত মিশ্র তাঁর আপত্তি জানিয়েছিলেন, তাঁর আপত্তি নোট করা হয়েছিল। আবদুল মান্নানও ছিলেন। তাই উনি (শুভেন্দু অধিকারী) কেন এড়িয়ে যাচ্ছেন সেটা উনিই ভাল বলতে পারবেন। উনি রাজ্যপালের কাছে হয়ত গিয়েছেন।”
একইসঙ্গে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমার মনে হয় বিরোধী দলনেতার আইন জানা উচিত। রাজ্যপাল সমান্তরাল ইলেকশন করতে পারেন না। এর আগে সূর্যকান্ত মিশ্র অন্য নাম দিয়েছিলেন। এবারে কোনও নাম আলাদা করে আসেনি।”
আরও পড়ুন: Gangasagar Mela: কেমন হবে এবারের মেলা, প্রস্তুতি দেখতে গঙ্গাসাগর যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী