AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Gangasagar Mela: কেমন হবে এবারের মেলা, প্রস্তুতি দেখতে গঙ্গাসাগর যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী

South 24 Parganas: গঙ্গাসাগরে ২৮, ২৯ এবং ৩০ ডিসেম্বর এই তিনদিনের কর্মসূচি রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

Gangasagar Mela: কেমন হবে এবারের মেলা, প্রস্তুতি দেখতে গঙ্গাসাগর যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী
গঙ্গাসাগর মেলা (ফাইল ছবি)
| Edited By: | Updated on: Dec 27, 2021 | 1:42 PM
Share

কলকাতা: মেলার প্রস্তুতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবারই গঙ্গাসাগরে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমে কথা ছিল ২৯ ডিসেম্বর গঙ্গাসাগরে যাবেন তিনি। তবে খামখেয়ালি আবহাওয়ার জন্য সেই সূচিতে কিছুটা বদল আনা হয়েছে।

মঙ্গলবার ২৮ ডিসেম্বর বেলা আড়াইটে নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রওনা হবেন কলকাতা থেকে। ৩টে নাগাদ গঙ্গাসাগরে পৌঁছনোর কথা তাঁর। এদিনই কপিল মুনির আশ্রমে পুজো দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর।

গঙ্গাসাগরে ২৮, ২৯ এবং ৩০ ডিসেম্বর এই তিনদিনের কর্মসূচি রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সাগর-সফরে গিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকও করবেন মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে আসন্ন গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখবেন তিনি। সোমবারই বিধানসভায় একথা জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

গঙ্গাসাগর মেলার জন্য বিশেষ প্রস্তুতি প্রশাসনের। কোভিডকালে কীভাবে সংক্রমণ প্রতিহত করা যায় সেদিকেই বিশেষ নজর রাজ্য সরকারের। পাশাপাশি তীর্থযাত্রীদের পুণ্য অর্জনে যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেদিকেও সতর্ক দৃষ্টি রয়েছে প্রশাসনের। ওমিক্রন উদ্বেগেই গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতিকে একগুচ্ছ পদক্ষেপ করছে প্রশাসন। কোভিড পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে শুরু করে অ্যাম্বুলেন্স থাকছে সমস্ত কিছুই।

জেলা প্রশাসন বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, মেলা চত্বরে ১৯১০ টি শয্যা সম্পন্ন ১৩ টি হাসপাতাল, ৫ টি আইসোলেশন ওয়ার্ড, ২৩৫ টি শয্যা সম্পন্ন ৪ টি সেফ হোম, ৫০০টি শয্যা সম্পন্ন কোভিড হাসপাতালের ব্যবস্থা  করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই আউট্রামঘাট আর গঙ্গাসাগর দ্বীপের মধ্যে ১৩টি হাসপাতাল গড়ে তোলা হয়েছে।

প্রত্যেক হাসপাতালে কোভিড রোগীদের জন্য থাকবে ২৫ টি অ্যাম্বুলেন্স। এ ছাড়াও থাকছে ৩টি ওয়াটার অ্যাম্বুল্যান্স ও ১টি এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স। কোনও রোগী  গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়লে থাকবে গ্রিন করিডোরের ব্যবস্থাও। শিশুদের জন্য থাকছে ৯২ টি শয্যার ব্যবস্থা। কাকদ্বীপ ও রুদ্রনগর হাসপাতালেও করোনা আক্রান্ত শিশুদের জন্য বিশেষ শয্যার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

তবে এবার সাগরে নেমে স্নান করার ছাড়পত্র এখনও প্রশাসনের তরফে দেওয়া হয়নি। ই-স্নানেই জোর দেওয়া হচ্ছে। অবশ্য শুধু ই-স্নান নয়, এবার ড্রোনের মাধ্যমেও স্নানের ব্যবস্থা থাকছে। অর্থাৎ ড্রোনের মাধ্যমে পুণ্যার্থীদের ওপর সাগরের জল ছেটানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। গতবার ই-স্নান ঘিরে পুর্ণার্থীদের আকর্ষণ তুঙ্গে উঠেছিল। এবার আরও এক ধাপ এগিয়ে জেলা প্রশাসন পরিকল্পনা করছে স্নানের পরিবর্তে ড্রোনের মাধ্যমে আকাশ পথে জল ছিটিয়ে তীর্থ যাত্রীদের ‘শুদ্ধিকরণ’ করার ব্যবস্থা করা হবে।

জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ২০টির কাছাকাছি ড্রোন নেওয়া হবে এই স্নানের জন্য। মকর সংক্রান্তির দিন বিভিন্ন পাত্রে সাগরের জল ভরে নিয়ে যাওয়া হবে কপিল মুনির মন্দিরে। সেখানে পুজো করে সেই পাত্র ড্রোনের সঙ্গে আটকে তা উড়িয়ে নিয়ে আসা হবে। একটি নির্দিষ্ট জায়গা ঠিক করে সেখানে পুণ্যার্থীদের জড়ো করে আকাশ থেকে স্নান করানোর ব্যবস্থা করা হবে। প্রতিবারে ১৫০ থেকে ২০০ জনকে এই পদ্ধতিতে স্নান করানো যাবে বলে আশা করছেন প্রশাসনিক কর্তারা। তবে মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী সেখানে গিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করার পরই চূড়ান্ত বিষয়টি জানা যাবে।

আরও পড়ুন: Kultali Tiger attack: একটানা ৫দিন কাটলেও বাগে আসেনি বাঘ! ঘুমপাড়ানি গুলি নিয়ে টহল বনকর্মীদের