কোচবিহার: ফের উত্তপ্ত দিনহাটা। রাতভর বোমাবাজি, চলল তির ধনুক নিয়ে হামলা। ওকড়াবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়ির সামনে হামলা হয় বলে অভিযোগ। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বাইকেও।
মধ্যরাতে প্রধানের বাড়িতে বোমাবাজি করা হয় শাসকদলেরই অন্য গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। আক্রমণ করার অভিযোগ ওঠে তির-ধনুক নিয়েও। ঘটনাটি ঘটেছে দিনহাটা ১ নং ব্লকের ওকড়াবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রেণুকা খাতুন বিবির বাড়ির সামনে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাত ১২ টার পর ওকরাবাড়ির বাজারে রেণুকা খাতুন বিবির বাড়িতে হঠাৎ আক্রমণ চালায় একদল দুষ্কৃতী । পরপর তিনটি বোমা মারে তারা। সকালেও বাড়ির সামনে বোমার খোল উদ্ধার হয়। এদিন সকালে সেখান থেকে চারটি তাজা বোমা উদ্ধার হয়।
ঘরের দরজায় দুষ্কৃতীরা আঘাত করে বলেও অভিযোগ প্রধানের। বাড়ির সামনেই রাখা ছিল একটি মোটরসাইকেল। তাতেও আগুন ধরিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল ওঠে রেণুকা খাতুন বিবির বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা পঞ্চায়েত সদস্যদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়।
ঘটনার খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ সেখানে পৌঁছয় দমকলের একটি ইঞ্জিন। কিছুক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। দিনহাটা থানার পুলিশ গিয়ে চারটি তাজা বোমা উদ্ধার করে। এই ঘটনায় তৃণমূলের প্রধান বিরোধী গোষ্ঠীর নাম উঠে এসেছে বলে খবর মিলেছে ।
ওকড়াবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে অনাস্থা স্বপক্ষে তলবি সভা ডাকা হয়েছে। তার আগেই প্রধানের বাড়িতে এই ধরনের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে ওকড়াবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে। এই ঘটনাকে নিয়ে আরও একবার দিনহাটা ১ নং ব্লকের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে আসলে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা।
আক্রান্ত প্রধানের স্বামী বলেন, “আমরা সবে খাওয়া সেরে শুতে যাচ্ছিলাম। পৌনে বারোটা নাগাদ, তখন ওরা হামলা চালিয়েছিল। চিত্কার চেঁচামেচি করছিল। বাড়িতে বোমাবাজি করে। অনাস্থার আগেই এই সব ঘটে। চিত্কার করছিল, তাঁদের মধ্যে চার-পাঁচ জন পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন। পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছিল। আমি ঘর থেকে না বেরিয়ে সঙ্গে সঙ্গে থানায় খবর দিই।”
তবে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, দলে কোনও গোষ্ঠীকোন্দলের ব্যাপার নেই। এটা অন্য কারোর কাজ। অনাস্থা আনার ব্যাপারে এসব হতে পারে না। কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে পারিবারিক কোনও সমস্যার কারণেও এই হামলা হতে পারে। সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে কখনই গ্রামের মধ্যে এই ধরনের ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না।
এদিকে, পুলিশ বলেছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। বাড়ির সামনে বাইক ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বোমাবাজি হয়েছে। তার প্রমাণ মিলেছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রাজনৈতিক কারণ নাকি অন্য কোনও ঘটনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আরও পড়ুন: আক্রান্তদের ভাষা বোঝার ক্ষেত্রে থাকছে খামতি! সিবিআই-এর স্পেশ্যাল টিমে এবার বাঙালি তদন্তকারীরা