সিতাই-মেদিনীপুর: রাত পোহালেই গণনা। প্রস্তুতি গোটা রাজ্যজুড়ে। প্রস্তুতি সিতাই থেকে তালডাংরা, মেদিনীপুর থেকে মাদারিহাটের মতো ছয় কেন্দ্রেই। জোরদার প্রস্তুতি সিতাইয়ে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল আটটা থেকে ভোট গণনা শুরু হবে। মোট ২৫ টি টেবিলে ভোট গণনা হবে। গণনা হবে মোট ১২ রাউন্ড। বেলা একটার মধ্যে গণনা পর্ব সম্পন্ন হবে বলেও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে ১৩ তারিখ বাংলার বাকি পাঁচ কেন্দ্রের মধ্যে উপভোট হয় মেদিনীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে। ভোট পড়েছে ৭৩.৭৩ শতাংশ। সেখানেও গণনা প্রস্তুতি তুঙ্গে। জেলা নির্বাচন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’টি হল ঘরে ১৮ টা টেবিলে ৩০৪টি বুথের গণনা হবে। তাছাড়া একটি টেবিল থাকছে ভিভিপ্যাট গণনা এবং আরেকটি টেবিল থাকছে পোস্টাল ব্যালটের গণনার জন্য। গণনা কর্মীর সংখ্যা ৯১। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে যাবে গণনা প্রক্রিয়া। শুক্রবার সকাল থেকেই জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা স্ট্রং রুম এবং গণনা টেবিলের ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন।
এদিকে এবারের উপনির্বাচনে সিতাইয়ে ভোট পড়েছে ৭১ শতাংশের কিছু বেশি। সিতাইয়ে গণনা কেন্দ্র ঠিক করা হয়েছে দিনহাটা কলেজে। শেষ মুহূর্তের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে এদিন দিনহাটা কলেজে এলেন দিনহাটা মহকুমা শাসক বিধুশেখর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ধীমান মিত্র, দিনহাটা থানার আইসি জয়দীপ মোদক সহ অন্যান্য আধিকারিকেরা।
অপরদিকে প্রশাসনের কড়াকড়ির মধ্যেও লোকসভা ভোটের ঘটনার কথা উল্লেখ করে রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন কোচবিহার জেলা বিজেপি সম্পাদক অজয় রায়। কিছুদিন আগের লোকসভা ভোটের কথা মনে করিয়ে তিনি বলেন, ওই ভোটের গণনার দিন তাঁদের দলীয় এজেন্টকে বের করে দেওয়া হয়েছিল, কেস করা হয়েছিল, ইভিএম টেম্পারিং করা হয়েছিল। তাই এবারও তেমন কিছু ঘটলে এবং গণনায় কারচুপি হলে তিনি অবাক হব না। একই সুর বামেদের গলাতেও। তবে বাম বিজেপির এই অভিযোগকে পাত্তা দিতে নারাজ তৃণমূল। দিনহাটা শহর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিশু ধর বলেন, নির্বাচনে প্রশাসনের সহায়তায় তৃণমূল কংগ্রেস টেম্পারিং করেছে বাম বিজেপি এসব কথা গ্রামে গিয়ে বললে সাধারণ মানুষ তাদের পেটাবে। একইসঙ্গে নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারেও একশো শতাংশ নিশ্চিত তিনি।