Flood in North Bengal: প্রবল বর্ষণে বানভাসি তুফানগঞ্জের ৫ হাজারের বেশি মানুষ, ভিটেমাটি হারিয়ে ঠাঁই স্কুলে
Flood in North Bengal: জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে তুফানগঞ্জের ছিট বড়লাউ কুঠি গ্রামের রাস্তাঘাট। জলের তলায় চলে গিয়েছে চাষের জমি।
দক্ষিণবঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত চললেও ভারী বর্ষণ চলছে উত্তরবঙ্গে। আগামী কয়েকদিন সেখানে বৃষ্টির দাপট জারি থাকবে বলে জানা যাচ্ছে।
লাগাতার বৃষ্টিতে প্লাবিত তুফানগঞ্জের ছিট বড়লাউ কুঠি গ্রাম। বানভাসি হওয়ার জোগাড় ৫ হাজারের বেশি গ্রামবাসীর। যার জেরে মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে বেশ কয়েকটি গ্রাম।
তবে এই প্রথম নয়, এলাকার বাসিন্দাদের দাবি বর্ষাকালে প্রতিবছর এই অবস্থা হয় তুফানগঞ্জের একাধিক গ্রামের। অভিযোগ, প্রশাসনের তরফে সমস্যা মেটানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
প্লাবিত হয়েছে তুফানগঞ্জের ভানুকুমারী-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ছিট বড়লাউ কুঠি গ্রাম। জলের তলা চলে গিয়েছে গ্রামের প্রায় শতাধিক বাড়ি। তাতেই আতঙ্ক বেড়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে।
বিগত কয়েকদিনে ভুটানে একটানা বৃষ্টিতে রাত থেকেই জল বাড়তে শুরু করেছে উত্তরের সংকোষ ও গদাধর নদীতে। ফুঁসছে দুই নদীই। তাতেই এই বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে তুফানগঞ্জের ছিট বড়লাউ কুঠি গ্রামের রাস্তাঘাট। জলের তলায় চলে গিয়েছে চাষের জমি।
এদিকে বানভাসি হয়ে এলাকার একটি স্কুলে আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে বন্যার খবর মেলার পরেও সরকারিভাবে ত্রাণ না পাঠানোর অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। না খেয়েই দিন কাটছে অনেকের।
দুটি বুথ মিলিয়ে এই গ্রামে প্রায় ৫ হাজার লোকের বসবাস। কিন্তু, নানা প্রয়োজনে গ্রামের বাসিন্দাদের ছুটতে হয় পড়শি রাজ্য অসমে। সীমান্ত এলাকায় অবস্থান হওয়ায় অসমের উপর অনেকটাই নির্ভরশীল এ এলাকার বাসিন্দারা।
বন্যার জেরে অসমের সঙ্গেও যোগাযোগ সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তাতেও উদ্বেগ বেড়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।