Paresh Adhikari: মেয়ে খোয়ালেন চাকরি, বাবা মন্ত্রিত্ব, পরেশ অধিকারীকে নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া মেখলিগঞ্জে

Paresh Adhikari: স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, " মন্ত্রীর পিছনে যাঁরা ঘোরেন, তাঁদেরই উন্নয়ন হয়। গোটা মেখলীগঞ্জে তো ঘুরি, কোথাও তো দেখলাম না কোনও কিছু একটা হল।"

Paresh Adhikari: মেয়ে খোয়ালেন চাকরি, বাবা মন্ত্রিত্ব, পরেশ অধিকারীকে নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া মেখলিগঞ্জে
পরেশ অধিকারী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 04, 2022 | 12:59 PM

কোচবিহার: নিয়োগে দুর্নীতি। প্রথমে চাকরি গেল মেয়ের। এবার মন্ত্রিত্ব খোয়ালেন বাবা। বুধবার বিকেলের মন্ত্রিসভার রদবদলে বাদ পড়লেন পরেশ অধিকারী। নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছিল আগেই। প্রভাব খাটিয়ে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীকে টপকে নিজের মেয়েকে চাকরির সুযোগ করে দিয়েছিলেন। রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কীর্তি প্রকাশ্যে আসার পরেও টুঁ শব্দটিও করেনি তৃণমূল কংগ্রেস।

হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি থেকে বরখাস্ত হন পরেশ কন্যা অঙ্কিতা অধিকারী। তাঁর জায়গায় চাকরি পান মামলাকারী ও মেধাতালিকায় থাকা ববিতা সরকার। আদালতের নির্দেশে মন্ত্রীকন্যার ফেরত দেওয়া বেতনের টাকা ইতিমধ্যেই পয়েছেন ববিতা সরকার। তখনও নীরবই থেকেছে পরেশ অধিকারীর দল। মন্ত্রিত্ব খোয়াতে হল পরেশকে। রাজনৈতিক মহলে অবশ্য কানাঘুষো ছিল আগে থেকেই।

শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকেই শুধু সরানো নয়, মন্ত্রীত্ব খোয়াতে হল পরেশ অধিকারীকে। নিয়োগ দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত পরেশ অধিকারী। তাঁর মন্ত্রিত্ব খোয়ানোর পরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া এলাকাবাসীর মধ্যে। কেউ বলছেন, গত এক বছরে কোনও কাজ করেননি মন্ত্রীমশাই। তাহলে আর মন্ত্রিত্ব থেকে লাভ কী! কারও গলায় আবার সামান্য আক্ষেপের সুর।

স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ” মন্ত্রীর পিছনে যাঁরা ঘোরেন, তাঁদেরই উন্নয়ন হয়। গোটা মেখলীগঞ্জে তো ঘুরি, কোথাও তো দেখলাম না কোনও কিছু একটা হল।”

মন্ত্রিত্ব খুইয়েছেন। সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতির বড়সড় অভিযোগ। দলে এবার কতটা প্রাসঙ্গিক পরেশ অধিকারী? তৃণমূল শহর সভাপতি বিষ্ণুপদ ঘোষের অবশ্য দাবি, দলের হয়ে কাজ করা বন্ধ করবেন না প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী।

তৃণমূল শহর সভাপতি বিষ্ণুপদ ঘোষের বক্তব্য, “বিধায়ক মানুষের পাশে ছিলেন, সঙ্গে ছিলেন, আগামীতেও থাকবেন। মানুষের পাশে থাকাটাই বড় ব্যাপার। তার জন্য পদের কোনও প্রয়োজন নেই।”

পরেশের মন্ত্রিত্ব খোয়ানোর ইস্যু নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক দোধিরাম রায় বলেন, “গোটা দল, একেবারে অঞ্চল থেকে শুরু করে রাজ্য স্তর পর্যন্ত এই দলটা দুর্নীতিতে ভর্তি। কয়েকজন চোরকে সরিয়ে কয়েকজন চোরকে এনে বসাল। চোর বাছতে গেলে তৃণমূল দলটা আর থাকবে না।” সব মিলিয়ে নিজের এলাকাতেই চরম অস্বস্তিতে পরেশ অধিকারী।