আধার কার্ডে লেখা গ্রাম- শিবগঞ্জ, পোস্ট- ধুলাগাও, বাস্তবে এই ঠিকানার কোনও অস্তিত্বই নেই! কীভাবে সম্ভব?
Fake Aadhaar Card: ঠিকানা দেখেই সন্দেহ বাড়ে। আধার কার্ডে লেখা ঠিকানায় জেলা হিসেবে কোচবিহারকে দেখানো রয়েছে, যে পিন কোড দেওয়া হয়েছে সেটিও কোচবিহারেরই। তবে কোচবিহারে শিবগঞ্জ নামে নেই কোনও গ্রাম।
কোচবিহার: বাংলাদেশের অশান্তির মাঝেই একের পর এক জাল আধার ধরা পড়ছে পশ্চিমবঙ্গে। বাংলাদেশের নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও, কীভাবে হাতে এল ভারতের আধার কার্ড? এই জাল আধারের অভিযোগে বুধবারই দু’জনকে আটক করা হয়েছে। অন্যদিকে, ভারতে পরিচারিকার কাজে কর্মরত এক মহিলাকে ঘিরে উঠেছে প্রশ্ন। আধারে লেখা আছে এমন গ্রামের নাম, যার বাস্তবে কোনও অস্তিত্বই নেই। কীভাবে তৈরি হচ্ছে এইসব আধার কার্ড? উঠেছে একাধিক প্রশ্ন।
এক পরিচারিকার কাছে এমন একটি আধার কার্ড পাওয়া যায়, যা দেখেই সন্দেহ হয় বাড়ির মালিকের। আধার কার্ডে দেখা যাচ্ছে, এক মহিলার নাম সরস্বতী সর্দার। তাঁর বাবার নাম লেখা হয়েছে কালু সর্দার। ঠিকানা হিসেবে লেখা হয়েছে , গ্রাম- শিবগঞ্জ, পোস্ট- ধুলাগাও, থানা- ভাইর, জেলা- কোচবিহার, পিন কোড- ৭৩৬১০১।
এই ঠিকানা দেখেই সন্দেহ বাড়ে। আধার কার্ডে লেখা ঠিকানায় জেলা হিসেবে কোচবিহারকে দেখানো রয়েছে, যে পিন কোড দেওয়া হয়েছে সেটিও কোচবিহারেরই। তবে কোচবিহারে শিবগঞ্জ নামে নেই কোনও গ্রাম, নেই ধুলাগাও পোস্ট অফিস বা ভাইর থানা। যাঁর কাছে এই আধার কার্ড পাওয়া গিয়েছে, সেই মহিলা উত্তর প্রদেশের নয়ডায় পরিচারিকার কাজ করতেন। বাড়ির মালিকের সন্দেহ হওয়ায় তিনি ভেরিফাই করার জন্য সংশ্লিষ্ট জায়গায় পাঠিয়েছিলেন ওই আধার কার্ড।
এদিকে, বুধবারই কোচবিহারের চ্যাঙড়াবান্ধা সীমান্তে আটক করা হয়েছে তিন বাংলাদেশিকে। বিএসএফ তিনজনের কাছ থেকে আধার কার্ড উদ্ধার করেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম এনামুল হক সোহেল। তাঁর স্ত্রী ও সন্তানকেও আটক করা হয়েছে। বাংলাদেশের রঙপুরের বাসিন্দা ওই দম্পতির কাছে উদ্ধার হয়েছে ভারতের আধার কার্ড।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)