কোচবিহার: জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় রমরমিয়ে গজিয়ে উঠছে রিসর্ট, বহুতল, রিসর্ট। হোমস্টের নাম ভাঙিয়ে বহিরাগতদের লোকেরা গড়ে তুলছেন সেই সব রিসর্ট। প্রশাসনের নাকের ডগায় কীভাবে হচ্ছে ‘বেআইনি’ কাজ? উঠছে প্রশ্ন। এই নিয়ে আলিপুরদুয়ারের প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ এসব বিল্ডিংয়ের প্ল্যান যেন পঞ্চায়েত থেকে দেওয়া না হয়। সঙ্গে তিনি আরও বলেন, আদিবাসীদের জমি কোনওভাবেই নেওয়া যাবে না।
ইতিমধ্যেই একাধিক রিসর্টের হাদিশ মিলেছে চিলাপাতা জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায়। একেরপর এক বড় বড় রিসর্ট গড়ে উঠেছে। জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় হোম স্টে করার অনুমতি দিয়েছিল সরকার। স্থানীয় মানুষদের কর্মসংস্থানের জন্যেই সরকারের এই পদক্ষেপ। অভিযোগ, এখন হোম স্টে-র নাম দিয়ে চলছে রিসর্টের ব্যবসা। হিসাব মতো চিলাপাতায় স্থানীয়দের জন্যেই হোম স্টে করার অনুমতি থাকলেও এলাকার বাইরের লোকেরা জমি কিনে বানিয়ে ফেলেছেন বিরাট বিরাট রিসর্ট। অভিযোগের এখানেই অন্ত নেই।
সূত্রের খবর, যেহেতু আদিবাসীদের জমি বিক্রি করা যায় না তাই আদিবাসীদের সঙ্গে লিজ এগ্রিমেন্ট করে তাকে ব্যবসায় অন্তর্ভুক্ত করে নিয়ে বকলমে চলছে এই ‘অবৈধ’ করবার। বিরোধীদের অভিযোগ, সবটাই চলছে প্রশাসনের একাংশের প্রত্যক্ষ মদতে। অভিযোগ অনেক রিসর্টই আবার নানা ধরনের ‘অবৈধ’ কাজও হয়। যা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। সকলেই বলছেন, অবস্থার পরিবর্তন চাই। বিষয়টা দেখুক প্রশাসন।