Cooch Behar storm update: ২০ মিনিটের কালবৈশাখীতে ভাঙল কয়েক হাজার বাড়ি, মৃত বেড়ে ৩

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Apr 18, 2022 | 11:14 AM

Cooch Behar storm update: কোচবিহারে মাত্র ২০-২৫ মিনিটের ঝড় লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে গোটা এলাকা। বহু মানুষের ঘর বাড়ি ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে।

Cooch Behar storm update: ২০ মিনিটের কালবৈশাখীতে ভাঙল কয়েক হাজার বাড়ি, মৃত বেড়ে ৩
বাড়িঘর ভেঙে তছনছ হয়ে গিয়েছে।

Follow Us

কোচবিহার : মাত্র ২৫ মিনিটের কালবৈশাখীতে ব্যাপক ক্ষতি কোচবিহারে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। রবিবারই ঝড়ের এই ভয়াবহ ছবি দেখা যায়। আর সোমবার সকাল পর্যন্ত অন্তত তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। হাহাকারের ছবি দেখা যাচ্ছে চারপাশে। ছাদ উড়েছে বহু ঘর-বাড়ির। কোচবিহারের ১ নম্বর ব্লকের ছুটকা বাড়ি টাপুরহাট মোয়ামারী, চান্দামারী সহ একাধিক জায়গায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুৎ নেই বিস্তীর্ণ এলাকায়। রাজ্য সড়কের ওপর উপড়ে পড়ে রয়েছে ১১ হাজার ভোল্টের লাইন। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ আকার নিয়েছে। প্রশাসনের তৎপরতায় চলছে উদ্ধারকাজ। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

রবিবার সন্ধ্যায় কোচবিহারে চলে প্রবল ঝড়ের তাণ্ডব। আর তাতেই একের পর এক বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রাত পেরিয়ে সকাল হলেও বিদ্যুৎহীন গোটা এলাকা। যে ভাবে বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে রয়েছে, তাতে কবে বিদ্যুৎ আসবে তা বলা কঠিন। রবিবার ঘটনাস্থলে যান তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তিনি জানান কয়েক হাজার বাড়ির ক্ষতি হয়েছে, স্কুলের ছাদ উড়ে গিয়েছে। এলাকার মানুষের দাবি, যাঁদের মাথার ছাদ উড়ে গিয়েছে, তাঁদের অন্তত একটা আশ্রয়ের ব্যবস্থা করুক প্রশাসন। তবে সকাল পর্যন্ত প্রশাসনের তরফে কেউ পরিদর্শনে আসেননি বলে জানা গিয়েছে।

সোমবার দিনের আলো ফুটতেই দেখা যায়, জায়গায় জায়গায় ধ্বংসস্তূপের ছবি। পাকা বাড়ির দেওয়াল ভেঙে পড়ে গিয়েছে মাটিতে। গাছ ভেঙে আহত হয়েছেন অনেকে। উড়ে গিয়েছে পুলিশ ফাঁড়ির চালও। রাস্তার ওপর পড়ে রয়েছে বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার। ঝড়ের তাণ্ডবে ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের তারের লাইনও উপড়ে পড়ে গিয়েছে। রাজ্য সড়ক কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছে। চারিদিকে শুধু অ্যাম্বুলেন্সের শব্দ। হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বহু মানুষকে। এখনও কেউ আটকে রয়েছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

শুধু ঘরবাড়িই নয়, ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। রবিবার সন্ধ্যা থেকেই ঝড়ের দাপট শুরু হয়। সন্ধে প্রায় ৭ টা থেকে শুরু হয় শিলাবৃষ্টি। গত কয়েকদিন ধরেই উত্তরবঙ্গে ঝড়-বৃষ্টি চলছে। তবে, এমন ধ্বংসাত্মক ছবি সম্প্রতি কোথাও দেখা যায়নি।

আরও পড়ুন : Selim in Local Train: মানুষের আরও কাছে পৌঁছে যাওয়ার চেষ্টা, লোকাল ট্রেনে হাঁসখালি যাত্রা মহম্মদ সেলিমের

Next Article