কোচবিহার: শিব মন্দিরে জল ঢালতে যাওয়ার পথে গাড়ির ভিতরেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু অন্তত ১০ পুণ্যার্থীর। জল্পেশের শিব মন্দিরে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। গুরুতর আহতদের পাঠানো হয়েছে জলপাইগুড়ি হাসপাতালে।
রবিবার। ঘড়ির কাঁটায় রাত তখন বারোটা। শ্রাবণ মাসের তৃতীয় সোমবারে শিবের মাথায় জল ঢালতে কোচবিহারের শীতলকুচি থেকে জল্পেশের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন ২৫ জন পুর্ণ্যার্থীর একটি দল। গাড়ির ভিতর চলছিল ডিজে (DJ)। ছিল জেনারেটরের ব্যবস্থা। জানা গিয়েছে, কোনও ভাবে ওই জেনারেটরে শর্ট সার্কিট হয়। আর তার জেরেই ঘটে বিপত্তি। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর জখম হন ১৬ জন। তাঁদের তড়িঘড়ি উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা ১০ জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাকিদের জলপাইগুড়ি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
সূত্রের খবর, ২৫ জনের ওই দল ছিলেন একটি পিকআপ ভ্যানে। কয়েকজন পুণ্যার্থীর বক্তব্য অনুযায়ী, জামালদহ -চ্যাংড়াবান্ধা রাজ্য সড়কের ধরলা সেতু পার হওয়ার পরই জেনারেটর থেকে সেই গাড়িতে শর্ট সার্কিট হয়। তখনই ওই ষোলো জন গুরুতর জখম হন। গাড়ির চালকের তৎপরতায় তড়িঘড়ি আহতদের উদ্ধার করে চ্যাংরাবান্ধা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ১০ জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
এক পুণ্যার্থী বলেন, ‘আজকে আমরা জল্পেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলাম। আমরা ছিলাম বাইকে। ছোট-ভাইরা ছিল আমাদের সঙ্গে। ওরা গাড়িতে ছিল। আর মাত্র এক কিলোমিটার রাস্তা বাকি ছিল। সেই সময় গাড়িতে লোডসেডিং হয়। তখনই জেনারটর থেকে কোনওভাবে শর্ট সার্কিট হয়। এর আমরা মন্দিরে না গিয়ে হাসপাতালের দিকে রওনা দিই। ভেবেছিলাম জল্পেশে গিয়েই দেখা হবে। কিন্তু হল না।’ মৃত এক ব্যক্তির মামা বলেন, ‘জল ঢালতে শিবের মাথায় জল্পেশে যাচ্ছিল। জেনারেটরে শর্ট সার্কিট হয়ে দশ জন মারা গিয়েছে বলে শুনেছি। এর মধ্যে আমার ভাগ্না রয়েছে।’