Municipal Elections 2022: সিপিআই(এম) প্রার্থীকে না পেয়ে বাড়ি থেকেই তাঁর ভাইকে উঠিয়ে নিয়ে গেল তৃণমূলের দলবল!

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Feb 11, 2022 | 11:30 AM

Mathabhanga CPIM: মাথাভাঙা ১১ নং ওয়ার্ডের সিপিআই(এম) এর হয়ে প্রার্থী হয়েছেন মদন কর। এরপর অভিযোগ গতকাল গভীর রাতে তৃণমূল আশ্রিত কয়েকজন দুষ্কৃতী ঢোকে মদনবাবুর বাড়িতে।

Follow Us

মাথাভাঙা: প্রথমে কোচবিহারের দিনহাটা (Dinhata) । বিরোধী প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে না দেওয়ায় রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল এলাকা। লাঠিপেটা থেকে বোমাবাজি কী হয়নি সেখানে। ইতিমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দিনহাটা পুরসভা দখলে নিয়েছে শাসকদল। যখন দিনহাটার গল্প কিছুটা হলে স্তিমিত হয়েছে, সেই সময় ফের খবরে কোচবিহারের অন্য পুরসভা মাথাভাঙা (Mathabhanga)। সেখানে একবার নয় একাধিকবার সিপিআই(এম) কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠছে তৃণমূলের উপর। আর এবার হামলা নয় সোজা অপহরণ। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে প্রার্থীকে না পেয়ে তাঁর ভাইকে অপহরণের অভিযোগ ওঠে শাসকদলের বিরুদ্ধে।

কী ঘটেছে?

পুর নির্বাচনকে ঘিরে উত্তপ্ত কোচবিহারের মাথাভাঙা। মাথাভাঙা ১১ নং ওয়ার্ডের সিপিআই(এম) এর হয়ে প্রার্থী হয়েছেন মদন কর। অভিযোগ, গতকাল গভীর রাতে তৃণমূল আশ্রিত কয়েকজন দুষ্কৃতী ঢোকে মদনবাবুর বাড়িতে। কিন্তু তাকে না পেয়ে উঠিয়ে গ্রিলের দরজা ভেঙেই উঠিয়ে নিয়ে যায় তাঁর ভাই খোকন করকে।

গোটা ঘটনায় সিপিআই(এম) এক কর্মী জানান, “গতকাল রাতে তৃণমূলের দলবল আমাদের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী মদন করের বাড়িতে এসে খোঁজখবর শুরু করে। জানতে চায় তিনি বাড়িতে আছেন কিনা। বাড়ির সদস্যরা গেট খুলতে দেরী করায় গেট ভেঙে ভিতরে ঢোকে ওরা। এরপর প্রার্থী না পেয়ে তাঁর ভাইকে ওরা অপহরণ করে নিয়ে যায়। এখনও পর্যন্ত তাঁর কোনও হদিশ পাওয়া যাচ্ছে না। গোটা পরিবার আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। আমরা এই ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানাবো।”

মদনবাবুর বৃদ্ধা মা জানান, “গতকাল রাতে ওরা এসে মদনকে খুঁজছে। আমি বললাম বাড়িতে নেই। ওরা বলছে আছে। তারপর ঘরের ভিতর লাথি মেরে ঢোকে। আর মদনকে খুঁজতে শুরু করে। ওকে না পেয়ে ঘরদোর তছনছ করে দেয়। তারপর বড় ছেলেকে না পেয়ে ছোট ছেলেকে উঠিয়ে নিয়ে চলে যায়। এর একটা বিহিত হোক চাই।”

সিপিআই(এম) সূত্রে খবর, এই ঘটনার প্রতিবাদে ইতিমধ্যে কোচবিহারে যাচ্ছেন সিপিআই(এম) নেতা সুজন চক্রবর্তী। সঙ্গে আরও কয়েকজন বুদ্ধিজীবী মিলে প্রতিবাদে নামবেন বলেও জানা গিয়েছে। আগামী ২৭ তারিখ যাতে সুষ্ঠভাবে ভোট সম্পন্ন হয় সেই কারণে এসডিও, এসডিপিও অফিসে ধর্না, অবস্থানে বসবেন তাঁরা।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারও সিপিআই(এম) এই মাথাভাঙার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিআইএম প্রার্থী মাথাভাঙা কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ডঃ দেবাশিস দত্তের ওপর হামলা চালায় তৃণমূল কংগ্রেসের কয়েকজন দুষ্কৃতী। মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিতে হবে বলে মারধর করা হয় প্রার্থীকে। অন্তত এমনটাই অভিযোগ। সিপিআই(এম) প্রার্থী বলেন, “আমি কেন ভোটে দাঁড়িয়েছি, আমাকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে হবে। চাপ তৈরি হয় আমার ওপর। আমি বলেছি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করব না। এই কথা শোনার পর ওই দুষ্কৃতীরা আমাকে হুমকির সুরে বলে আগামিকাল থেকেই আপনি বাড়ি থেকে বের হতে পারবেন না। তারপর ওই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আমাকে অকথ্য গালিগালাজ করে এবং পরিশেষে বাঁশের লাঠি দিয়ে মারে। কিল-চড়-ঘুষি পর্যন্ত মারে।” সিপিএম প্রার্থীর ঘাড়ে, হাতে এবং পায়ে চোট লেগেছে।

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা

মাথাভাঙা: প্রথমে কোচবিহারের দিনহাটা (Dinhata) । বিরোধী প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে না দেওয়ায় রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল এলাকা। লাঠিপেটা থেকে বোমাবাজি কী হয়নি সেখানে। ইতিমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দিনহাটা পুরসভা দখলে নিয়েছে শাসকদল। যখন দিনহাটার গল্প কিছুটা হলে স্তিমিত হয়েছে, সেই সময় ফের খবরে কোচবিহারের অন্য পুরসভা মাথাভাঙা (Mathabhanga)। সেখানে একবার নয় একাধিকবার সিপিআই(এম) কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠছে তৃণমূলের উপর। আর এবার হামলা নয় সোজা অপহরণ। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে প্রার্থীকে না পেয়ে তাঁর ভাইকে অপহরণের অভিযোগ ওঠে শাসকদলের বিরুদ্ধে।

কী ঘটেছে?

পুর নির্বাচনকে ঘিরে উত্তপ্ত কোচবিহারের মাথাভাঙা। মাথাভাঙা ১১ নং ওয়ার্ডের সিপিআই(এম) এর হয়ে প্রার্থী হয়েছেন মদন কর। অভিযোগ, গতকাল গভীর রাতে তৃণমূল আশ্রিত কয়েকজন দুষ্কৃতী ঢোকে মদনবাবুর বাড়িতে। কিন্তু তাকে না পেয়ে উঠিয়ে গ্রিলের দরজা ভেঙেই উঠিয়ে নিয়ে যায় তাঁর ভাই খোকন করকে।

গোটা ঘটনায় সিপিআই(এম) এক কর্মী জানান, “গতকাল রাতে তৃণমূলের দলবল আমাদের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী মদন করের বাড়িতে এসে খোঁজখবর শুরু করে। জানতে চায় তিনি বাড়িতে আছেন কিনা। বাড়ির সদস্যরা গেট খুলতে দেরী করায় গেট ভেঙে ভিতরে ঢোকে ওরা। এরপর প্রার্থী না পেয়ে তাঁর ভাইকে ওরা অপহরণ করে নিয়ে যায়। এখনও পর্যন্ত তাঁর কোনও হদিশ পাওয়া যাচ্ছে না। গোটা পরিবার আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। আমরা এই ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানাবো।”

মদনবাবুর বৃদ্ধা মা জানান, “গতকাল রাতে ওরা এসে মদনকে খুঁজছে। আমি বললাম বাড়িতে নেই। ওরা বলছে আছে। তারপর ঘরের ভিতর লাথি মেরে ঢোকে। আর মদনকে খুঁজতে শুরু করে। ওকে না পেয়ে ঘরদোর তছনছ করে দেয়। তারপর বড় ছেলেকে না পেয়ে ছোট ছেলেকে উঠিয়ে নিয়ে চলে যায়। এর একটা বিহিত হোক চাই।”

সিপিআই(এম) সূত্রে খবর, এই ঘটনার প্রতিবাদে ইতিমধ্যে কোচবিহারে যাচ্ছেন সিপিআই(এম) নেতা সুজন চক্রবর্তী। সঙ্গে আরও কয়েকজন বুদ্ধিজীবী মিলে প্রতিবাদে নামবেন বলেও জানা গিয়েছে। আগামী ২৭ তারিখ যাতে সুষ্ঠভাবে ভোট সম্পন্ন হয় সেই কারণে এসডিও, এসডিপিও অফিসে ধর্না, অবস্থানে বসবেন তাঁরা।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারও সিপিআই(এম) এই মাথাভাঙার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিআইএম প্রার্থী মাথাভাঙা কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ডঃ দেবাশিস দত্তের ওপর হামলা চালায় তৃণমূল কংগ্রেসের কয়েকজন দুষ্কৃতী। মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিতে হবে বলে মারধর করা হয় প্রার্থীকে। অন্তত এমনটাই অভিযোগ। সিপিআই(এম) প্রার্থী বলেন, “আমি কেন ভোটে দাঁড়িয়েছি, আমাকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে হবে। চাপ তৈরি হয় আমার ওপর। আমি বলেছি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করব না। এই কথা শোনার পর ওই দুষ্কৃতীরা আমাকে হুমকির সুরে বলে আগামিকাল থেকেই আপনি বাড়ি থেকে বের হতে পারবেন না। তারপর ওই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আমাকে অকথ্য গালিগালাজ করে এবং পরিশেষে বাঁশের লাঠি দিয়ে মারে। কিল-চড়-ঘুষি পর্যন্ত মারে।” সিপিএম প্রার্থীর ঘাড়ে, হাতে এবং পায়ে চোট লেগেছে।

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা

Next Article