হরিরামপুর: কী অবস্থা। যৌন লালসার শিকার থেকে বাদ পড়ল না এক নিরীহ প্রাণী। ফাঁকা মাঠে গরুকে একা পেয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার বিকেলে হরিরামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন গরুর মালিক। ঘটনাটির অভিযোগ পেতেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অন্যদিকে, গরুটির শারীরিক পরীক্ষা করার পাশাপাশি তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও খবর মিলেছে স্থানীয় প্রাণীসম্পদ দফতরের উদ্যোগে। এই বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। অন্যদিকে, অভিযুক্ত ব্যক্তি পলাতক। ঘটনার তদন্তে হরিরামপুর থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, বুধবার দুপুরে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হরিরামপুর থানার শিরশী গ্রাম পঞ্চায়েতের বড়বরা এলাকার শিউলি ঘোষ নামে এক গৃহবধূর তিনটি গরু বাঁধা ছিল মাঠে। দুপুরবেলা সেগুলি আনতে গিয়ে দেখেন দু’টি গরু যথাস্থানে বাঁধা থাকলেও একটি গরু নেই। এরপর গরুর খোঁজাখুঁজি করলে পাশের পাটক্ষেতে গরুটি নজরে আসে। পাটক্ষেতের ভিতরে ঢুকে গরুটিকে আনতে যান, তখনই আকাশ থেকে পড়ার মতো অবস্থা হয় শিউলিদেবীর। যা কোনও দিনও ভাবাও যায় না। এমন দৃশ্যর স্বাক্ষী হন তিনি। অভিযোগ, প্রতিবেশী এক ব্যক্তি তাঁর গরুকে ধর্ষণ করছে। মহিলা বিষয়টি দেখতেই চিৎকার শুরু করেন। তখনই ওই ব্যক্তি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। মহিলার দাবি, যখন ওই ব্যক্তি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় তার জামা ও লুঙ্গিতে রক্তের দাগ ছিল এর পরেই গতকাল রাতে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে যায় গরুর মালিক।
কিন্তু পুলিশ সেই অভিযোগ নেয়নি বলে জানান শিউলিদেবী। অবশেষে জেলার কয়েকজন পশুপ্রেমী সংস্থার প্রচেষ্টায় বৃহস্পতিবার বিকেলে হরিরামপুর থানায় অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগ নেয় পুলিশ। পাশাপাশি নির্যাতিতা গরুর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয় স্থানীয় প্রাণীসম্পদ বিভাগে। এছাড়াও তার শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। অভিযুক্ত ব্যক্তির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
ঘটনাটির বিষয়ে গরুর মালিক শিউলি ঘোষ বলেন, ‘গতকাল দুপুরে মাঠ থেকে গরু আনতে গিয়েছিলাম। সেই সময় মাঠে গিয়ে দেখি তিনটি গরুর মধ্যে একটি গরু নেই। আর একটি গরুর খোঁজে এলাকায় ঘোরাঘুরি করার সময় দেখি পাশের একটি পাট ক্ষেতে ওই প্রতিবেশী এক ব্যক্তি আমাদের গরুকে ধর্ষণ করছে। বিষয়টি নজরে আসার পরে ঘটনাস্থলে যেতেই অভিযুক্ত পালিয়ে যায়। এরপর ব্যক্তির বাড়িতে গেলে বাড়ির লোকেরা বলেন তারা কিছু জানেন না। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত।’ অন্যদিকে, এ বিষয়ে হরিরামপুর থানার আইসি বরুণ মিত্র জানান, ঘটনার অভিযোগ হয়েছে। অভিযুক্ত পলাতক। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।