E-Prescription: ডাক্তারবাবুর হাতের লেখা উদ্ধারে সমস্যা? এবার সরকারি হাসপাতালেও মিলবে ই-প্রেসক্রিপশন
Balurghat: এতদিন ডাক্তারবাবুরা রোগীকে দেখার পর হাতে প্রেসক্রিপশন লিখে দিতেন। তবে এবার সেই প্রথা বদলাতে চলেছে। পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে আসছে ই-প্রেসক্রিপশনের ব্যবস্থা। আর হাতে লেখা নয়, কম্পিউটারাইজ় প্রেসক্রিপশন দেওয়া হবে রোগীদের।

বালুরঘাট: সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা আরও উন্নত করতে বাড়ছে তৎপরতা। এবার বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের বহির্বিভাগে শুরু হচ্ছে ই-প্রেসক্রিপশন। আপাতত পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে এই প্রক্রিয়া শুরু করা হচ্ছে। তাই সব বিভাগের জন্য এখনই ই-প্রেসক্রিপশন চালু হচ্ছে না। জানা যাচ্ছে, যেসব বিভাগে রোগীর সংখ্যা তুলনায় কিছুটা কম, সেই বিভাগগুলিতে আপাতত ই-প্রেসক্রিপশন ব্যবস্থা চালু করা হবে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী সপ্তাহ থেকেই এই ই-প্রেসক্রিপশন পরিষেবা চালু হয়ে যাবে হাসপাতালের বহির্বিভাগে।
কী এই ই-প্রেসক্রিপশন? এতদিন ডাক্তারবাবুরা রোগীকে দেখার পর হাতে প্রেসক্রিপশন লিখে দিতেন। তবে এবার সেই প্রথা বদলাতে চলেছে। পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে আসছে ই-প্রেসক্রিপশনের ব্যবস্থা। আর হাতে লেখা নয়, কম্পিউটারাইজ় প্রেসক্রিপশন দেওয়া হবে রোগীদের। ডাক্তারবাবু রোগীকে দেখার পর কী ওষুধ লিখে দিচ্ছেন, তাঁর কী চিকিৎসা চলছে, সেই সব স্পষ্টভাবে লেখা থাকবে সেখানে। অনেক সময়েই রোগীদের বলতে শোনা যায়, ডাক্তারবাবু প্রেসক্রিপশনে কী লিখে দিয়েছেন, তা তাঁরা বুঝতে পারছেন না। এবার ই-প্রেসক্রিপশন ব্যবস্থায় একদিকে যেমন রোগীদের সেই সমস্যা দূর হবে, একইসঙ্গে হাসপাতালেরও সুবিধা হবে। কোন রোগীকে কোন চিকিৎসার জন্য কী ওষুধ দেওয়া হচ্ছে, সেই সবের একটি ডিজিটাইজ় রেকর্ড থাকবে হাসপাতালের কাছে। পরবর্তীতে অন্যান্য রোগীদের চিকিৎসার সময় প্রয়োজন হলে সেই রেকর্ড ঘেঁটে সাহায্য পেতে পারেন চিকিৎসকরা।
তবে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পর্যাপ্ত লোকবল নেই বলে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ তুলেছেন রোগী ও তাঁদের পরিজনরা। সেক্ষেত্রে, ই-প্রেসক্রিপশন ব্যবস্থা কতটা কার্যকর হবে সেই নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে একাংশের মানুষের মনে। যদিও আপাতত সব বিভাগে নয়, নির্দিষ্ট কিছু বিভাগেই এই ই-প্রেসক্রিপশন চালু করা হচ্ছে।
বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণেন্দু বিকাশ বাগ বলেন, “স্বাস্থ্য দফতর থেকে নির্দেশ এসেছে ই-প্রেসক্রিপশন চালু করতে হবে। আগামী সপ্তাহ থেকে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের বহির্বিভাগে এই ই-প্রেসক্রিপশন চালু হচ্ছে। আপাতত মানসিক বিভাগ, নাক-কান-গলা বিভাগ ও আকুপাংচার বিভাগে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে ই-প্রেসক্রিপশন চালু করা হবে। আগামী দিনে ধীরে ধীরে সব বিভাগেই এই পরিষেবা চালু করা হবে।”
এই ই-প্রেসক্রিপশনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এলাকাবাসীরাও। বালুরঘাটের বাসিন্দা জয়শ্রী দত্তদাস মাঝেমধ্যেই চিকিৎসার প্রয়োজনে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের বহির্বিভাগে যান ডাক্তার দেখাতে। বলেছেন, “সেখানে হাতে লেখা প্রেসক্রিপশনই দেওয়া হয়। কিন্তু সেই প্রেসক্রিপশনে কী ওষুধের নাম লেখা হয়েছে বা অন্য কী কী লেখা হয়েছে, সেই ডাক্তারি পরিভাষা আমরা বুঝতে পারি না। ই-প্রেসক্রিপশন চালু হলে সেই সব আমরাও বুঝতে পারব এবং কী কী ওষুধের নাম লিখেছেন ডাক্তারবাবু, তা আমাদের পক্ষে বোঝা সহজ হবে।”





