Balurghat hospital: বিকল হয়ে পড়ে সিটি স্ক্যানের মেশিন, সমস্যায় রোগীরা

Rupak Sarkar | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Dec 01, 2023 | 1:22 PM

Balurghat hospital: দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় দুটি সিটি স্ক্যান রয়েছে৷ একটি বালুরঘাট ও একটি গঙ্গারামপুরে। বালুরঘাট জেলা সদর হাসপাতালের পুরনো ভবনে রয়েছে সরকারি সিটি স্ক্যান বিভাগ। দীর্ঘদিন আগে পিপিপি মডেলে এই সিটি স্ক্যান পরিষেবা চালু করা হয় হাসপাতালে

Balurghat hospital: বিকল হয়ে পড়ে সিটি স্ক্যানের মেশিন, সমস্যায় রোগীরা
খারাপ হয়ে পড়ে সিটি স্ক্যান
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

বালুরঘাট:  গত সোমবার রাত থেকেই সিটি স্ক্যান পরিষেবা বন্ধ রয়েছে হাসপাতালে। মেশিন বিকল হওয়ার কারণে সমস্যায় পড়েছেন রোগী থেকে তাদের পরিজনরা। মেশিন বিকলের খবর পেয়ে হাসপাতালে এসেছে টেকনিশিয়ান। তবে কবে স্বাভাবিক হবে সিটি স্ক্যান পরিষেবা তা এখনও অজানা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। এদিকে একরকম বাধ্য হয়ে বাইরে থেকে বেশি টাকার বিনিময়ে সিটি স্ক্যান করাচ্ছেন রোগীর আত্মীয়রা৷  শনিবারের মধ্যে এই পরিষেবা স্বাভাবিক করার আশ্বাস দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট সংস্থার টেকনিশিয়ানরা বলেই জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক চিকিৎসক সুদীপ দাস জানিয়েছেন।

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় দুটি সিটি স্ক্যান রয়েছে৷ একটি বালুরঘাট ও একটি গঙ্গারামপুরে। বালুরঘাট জেলা সদর হাসপাতালের পুরনো ভবনে রয়েছে সরকারি সিটি স্ক্যান বিভাগ। দীর্ঘদিন আগে পিপিপি মডেলে এই সিটি স্ক্যান পরিষেবা চালু করা হয় হাসপাতালে। পুরনো ভবনের জরুরি বিভাগের পাশেই রয়েছে এই বিভাগ। রোগীদের একদম বিনামূল্যে সিটি স্ক্যান পরিষেবা দেওয়া হয়। পথ দুর্ঘটনা বা হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের সব থেকে বেশি সিটি স্ক্যান করা হয়৷

গত সোমবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত স্বাভাবিকই ছিল সিটিস্ক্যান পরিষেবা। কিন্তু তারপর ওই রাতেই হঠাৎ সেই মেশিন বিকল হয়ে পরে। যার ফলে সমস্যায় পড়েন সাধারণ মানুষ। অনেক রোগীকে সিটি স্ক্যান করার জন্য নিয়ে এসেও খালি হাতেই ফিরে যেতে হচ্ছে। শুধু সিটি স্ক্যান নয় থ্রিডি স্ক্যানও পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।

বালুরঘাট হাসপাতাল সূত্রে খবর, প্রতিদিন গড়ে ২০ – ২৫ টি সিটি স্ক্যান হয়। এর পাশাপাশি প্রয়োজন অনুযায়ী থ্রিডি স্ক্যান হয়৷ শুধু হাসপাতালে ভর্তি থাকলেই নয় বহির্বিভাগের রোগীরাও সিটি স্ক্যান করেন হাসপাতালে। বিনামূল্যে হওয়ায় রোগীর চাপ বেশি থাকে। গত সোমবার রাত থেকে বহু রোগী ও তাদের পরিবার স্ক্যান করাতে এসেও ঘুরে গিয়েছেন। বৃহস্পতিবারও বহু রোগী এসে ঘুরে গিয়েছেন। অনেকে উপায় না পেয়ে একরকম বাধ্য হয়ে বাইরে থেকে টাকা দিয়ে স্ক্যান করাচ্ছেন।

এবিষয়ে বালুরঘাটের রঞ্জিত দাস বলেন,  “গত মঙ্গলবারই শুনেছিলাম হাসপাতালের সিটি স্ক্যান মেশিনটি খারাপ। সেটি আজও ঠিক হয়নি শুননাম। এই একটি মেশিনের উপর সাধারণ মানুষকে ভরসা করে থাকতে হয়। সকলের তো আর আর্থিক অবস্থা ভাল নয়, যে বাইরে থেকে বেশি টাকা দিয়ে সিটি স্ক্যান করাবে। মেশিনটি দ্রুত ঠিক করা হলে সকলের সুবিধা হবে।”

এবিষয়ে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণেন্দু বিকাশ বাগ বলেন, সোমবার রাত থেকে সিটি স্ক্যান মেশিনটি ব্রেক ডাউন হয়েছে। নির্দিষ্ট সংস্থায় বিষয়টি জানানোর পর গতকাল থেকে সেটিকে ঠিক করার চেষ্টা করছেন টেকনিশিয়ানরা। তবে এখনও তা ঠিক হয়নি। কাজ এখনও চলছে। আশাকরছি আজকের মধ্যেই মেশিনটি ঠিক হয়ে যাবে।

অন্যদিকে এবিষয়ে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সুদীপ দাস বলেন,  “বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের সিটি স্ক্যান মেশিনটি খারাপ হয়েছে। টেকনিশিয়ান এসেছেন। কিন্তু ভেতরের একটি পার্টস খারাপ থাকায় তা ঠিক করা সম্ভব হয়নি। বাইরে থেকে সেই পার্টস আনতে হবে। সর্বোচ্চ আগামী শনিবারের মধ্যে মেশিন ঠিক করার আশ্বাস দিয়েছেন টেকনিশিয়ান।”

Next Article