Balurghat School: শিক্ষিকারা দেরিতে আসায় হুড়োহুড়ি করে স্কুলে ঢুকছিল খুদেগুলো, আচমকাই চোখে ঢুকে গেল কাঠি, ভয়ঙ্করকাণ্ড

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Nov 02, 2022 | 8:45 AM

Balurghat School: অভিযোগ, বেশিরভাগ দিনই দেরিতে স্কুলে আসেন শিক্ষকরা। যার ফলে ওই স্কুলে মাঝেমধ্যেই শিশুদের নানা দুর্ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ।

Balurghat School: শিক্ষিকারা দেরিতে আসায় হুড়োহুড়ি করে স্কুলে ঢুকছিল খুদেগুলো, আচমকাই চোখে ঢুকে গেল কাঠি, ভয়ঙ্করকাণ্ড
বালুরঘাট স্কুলে ভয়ঙ্কর ঘটনা

Follow Us

বালুরঘাট: স্কুলে হুড়োহুড়ি করে ঢুকতে গিয়ে চোখে পাটকাঠি ঢুকে গেল এক খুদে পড়ুয়ার। গুরুতর জখম এক স্কুল পড়ুয়া৷ মঙ্গলবার দুপুরে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট শহরের খিদিরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। বিষয়টি জানাজানি হতেই ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা। স্কুলে গিয়ে শিক্ষদেরকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা৷ পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। এদিকে স্কুলের শিক্ষকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে জখম ছাত্রীকে তাঁরা হাসপাতালে গিয়ে দেখে এসেছেন। বর্তমানে ওই পড়ুয়া সুস্থ রয়েছেন। অল্পের জন্য বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটেনি৷ খুদে পড়ুয়ার পাশে তাঁরা আছেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন।

অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুলের সময় পেরিয়ে গেলেও আসেন না শিক্ষক। যার ফলে রোজই হুড়োহুড়ি লাগে খুদে স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে। মঙ্গলবার হুড়োহুড়ির জেরে এক খুদে ছাত্রীর চোখে পাঠ কাঠি লেগে জখম হয়। বছর ছয়েকের স্কুলছাত্রী প্রথম শ্রেণিতে পড়ে। ওই স্কুলে চারজন শিক্ষক রয়েছে।

অভিযোগ, বেশিরভাগ দিনই দেরিতে স্কুলে আসেন শিক্ষকরা। যার ফলে ওই স্কুলে মাঝেমধ্যেই শিশুদের নানা দুর্ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ। অভিযোগ, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টার পরে ওই ঘটনা ঘটলেও স্কুলে দেখা যায়নি শিক্ষকদের। বাধ্য হয়ে অভিভাবকরাই গিয়ে ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যান।

এরপর প্রায় সাড়ে ১২ টা নাগাদ স্কুলে যান শিক্ষকরা। মঙ্গলবার বালুরঘাট শহরের খিদিরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই ঘটনায় চরম ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন অভিভাবকরা। অভিভাবকদের অভিযোগ, সাড়ে ১০ টায় স্কুলে পড়ুয়ারা আসলেও শিক্ষকরা দেরিতে আসেন। কেউ সাড়ে ১১ টা আবার কেউ সাড়ে ১২ টায় স্কুলে যান। যার ফলে এমন দুর্ঘটনা লেগেই থাকছে স্কুলে।

এবিষয়ে ওই জখম ছাত্রীর মা কাজলী রায় বলেন, “স্কুলের কাছেই আমাদের বাড়ি। রোজ শিক্ষকরা দেরিতে আসে। এদিন মেয়েকে স্কুলে পাঠানোর পরে অনেকক্ষণ শিক্ষকরা আসেনি। যার ফলে হুড়োহুড়িতে অন্য এই ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে স্কুলে পৌঁছয়। কিন্তু তখনও কোন শিক্ষক ছিলেন না। যার ফলে আমি নিজেই হাসপাতালে নিয়ে যাই।”

এ বিষয়ে স্কুলের এক শিক্ষক মাধব দাস বলেন,”অভিভাবকদের অভিযোগ সত্যি নয়। রোজই আমরা তাড়াতাড়ি আসি। আজকে প্রধানশিক্ষক আসবে না জানতাম৷ তবে আমার স্কুলে আসার আগে বাইকের তেল ফুরিয়ে যায় এবং ট্রাফিক জাম থাকার কারণে একটু দেরি হয়। তবে আহত ওই ছাত্রীকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলাম।”

অন্যদিকে এবিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রাথমিক স্কুল শিক্ষা পরিদর্শক নারায়ণ চন্দ্র পাল বলেন, “এব্যাপারে আমাকে স্কুলের তরফে এখনও কিছু জানানো হয়নি। স্কুলে শিক্ষকদের দেরি করে আসার কথা নয়। তবে আমি পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখছি।”

Next Article