গঙ্গারামপুর: বন্ধাত্বকরণ করাতে আসা রোগীর মৃত্যু গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। চিকিৎসার গাফিলতির কারণে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ। ঘটনার প্রতিবাদে ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মৃতার আত্মীয় ও পরিজনদের। রবিবার দুপুরে ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল চত্বরে। পথ অবরোধের জেরে আটকে পরে দূরপাল্লার গাড়ি। পথ অবরোধ বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে গঙ্গারামপুর থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। আসেন গঙ্গারামপুরের আইসি শান্তনু মৈত্র, গঙ্গারামপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য, বিডিও দেওয়া শেরপা সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী৷ প্রায় ঘণ্টা দেড়েক পর পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি ৷ শুরু হয় যান চলাচল। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, গঙ্গারামপুর থানার উদয় গ্রাম পঞ্চায়েতের মোস্তফাপুর এলাকার বাসিন্দা নির্মল এক্কা। পেশায় তিনি পরিযায়ী শ্রমিক। তাঁর স্ত্রী শ্যামলী ওরাও (২৬)। শ্যামলীদেবীর এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে ৷ তাই তিনি লাইগেশন বা বন্ধাত্বকরণ করতে চান। পরিবার সূত্রে খবর, লাইগেশন করানোর জন্য এলাকার এক আশাকর্মীর সহযোগিতায় শনিবার গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ওই মহিলাকে। রাতে অস্ত্রোপচার করা হয় ৷ লাইগেশনের অস্ত্রোপচার করার পর মহিলার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। অবশেষে চিকিৎসা চলাকালীন এদিন সকালে মৃত্যু হয় ওই মহিলার।
রবিবার সকালে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। বিক্ষোভ দেখান হয় হাসপাতাল চত্বরে। পরর ঘটনার প্রতিবাদে ও সঠিক তদন্তের দাবিতে হাসপাতালের সামনে অবস্থিত ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় মৃতার আত্মীয়রা। যার জেরে জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। সমস্যায় পড়েন নিত্যযাত্রীরা।
পরিবারের দাবি, কোন ডাক্তার শ্যামলীদেবীর অস্ত্রোপচার করেছেন তা জানানো হয়নি পরিবারকে। এমনকী এ নিয়ে হাসপাতাল সুপার সঙ্গে দেখা করতে গেল জানানো হয়েছে তিনি ছুটিতে রয়েছেন। এর পরই আরও ক্ষোভে ফেটে পড়েন ক্ষুব্ধ জনতা ও পরিবারের সদস্যরা। এদিকে পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের পুলিশ মর্গে পাঠিয়েছে। এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে চলেছে মৃতার পরিবার। অভিযোগ পেলে পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে গঙ্গারামপুর থানা পুলিশ।
এনিয়ে গঙ্গারামপুর মহাকুমা পুলিশ আধিকারিক দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন,”চিকিৎসায় গাফিলতির একটি অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে রাস্তা অবরোধ হয়। পরে তারা অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং অবরোধ তুলে দেওয়া হয়।”